আমিরাতের কাছে হেরে জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধূলিসাৎ

জিম্বাবুয়ের জন্য বিশ্বকাপে যাওয়ার সমীকরণটা ছিল খুবই সহজ। বাছাই পর্বের সুপারসিক্সের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারালেই চলত। অথচ পারল না সেই কাজটিই করতে। জিম্বাবুয়ের স্বপ্ন ভেঙে প্রথম কোন টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলকে ওয়ানডেতে হারিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত।
Zimbabwe
ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ের জন্য বিশ্বকাপে যাওয়ার সমীকরণটা ছিল খুবই সহজ। বাছাই পর্বের সুপারসিক্সের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারালেই চলত। অথচ পারল না সেই কাজটিই করতে। জিম্বাবুয়ের স্বপ্ন ভেঙে প্রথম কোন টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলকে ওয়ানডেতে হারিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত। 

এই হারে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা বলতে গেলে শেষ হয়ে গেছে তাদের । শুক্রবার আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচ যদি টাই হয় তাহলেই কেবল ফের কপাল খুলতে পারে জিম্বাবুয়ের। এই সম্ভাবনাটা আসলে অনেকটা না থাকার মতই। 

বৃহস্পতিবার হারারেতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডি/এল মেথডে জিম্বাবুয়ে হেরেছে ৩ রানে। এই ম্যাচ জেতা-হারায় কিছুই যায় আসত না আরব আমিরাতের। শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠে তারা হৃদয় ভাঙার কারণ হয়েছে স্বাগতিক দর্শকদের। 

টস জিতে আরব আমিরাতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। টুর্নামেন্টে ধুঁকতে থাকা আমিরাত নিজেদের শেষ ম্যাচে দেখায় ব্যাট হাতে চমক। ৪৮তম ওভারে বৃষ্টি নামার আগে ৭ উইকেটে করে ২৩৫ রান। বৃষ্টির কারণে ডি/এল মেথডে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৩০। শেষ পর্যন্ত তারা করতে পেরেছে ৭ উইকেটে ২২৬। 

রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ের আশার প্রদীপ হয়ে উইকেটে ছিলেন শন উইলিয়ামস। ৮০ রান করা এই বাঁহাতি ১৯ বলে ২৪ রানের সহজ লক্ষ্যে নামিয়ে এনেছিলেন বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কিন্তু অসময়ে তিনি আউট হতেই বদলে যায় চিত্র। অবিশ্বাস্য আড়ষ্টতায় শেষ কাজটি করতে পারেননি ক্রিজে থাকা স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন। 

আগে ব্যাট করা আমিরাতের পক্ষে ব্যাট হাতে নায়ক ছিলেন রামিজ শাহজাদ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তিনি। গোলাম শাব্বেরের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রানের ইনিংস। 

বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের রান তাড়ায় ৪৭ বল কমে যায়, রান কমে মাত্র ৬। তবু ৪০ ওভারে ২৩০ রান জেতার মতই ছিলো। কিন্তু ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়াইনদের শুরুটা হয় বাজে। দুই ওপেনার সোলেমান মিরে ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। রান পাননি ব্র্যান্ডন টেইলরও। তবে মিডল অর্ডারে পিটার মুরের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন শন উইলিয়ামস। চতুর্থ উইকেটে এই দুজনের ৭৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। ৩৯ রান করা মুর আউট হয়ে গেলেও দারুণ খেলতে থাকেন উইলিয়ামস। ছন্দে থাকা সিকান্দার রাজার সঙ্গে গড়ে উঠে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি।  কিন্তু ২৬ বলে ৩৪ রান করা রাজার আউটে ভড়কে যায় জিম্বাবুয়ে। 

উইলিয়ামস ছিলেন বলে খেলায় ছিল তারা। ১৮ বল বাকি থাকতে ৮০ বলে ৮০ রান করা উইলিয়ামস ফিরতেই ঘোর অন্ধকার নামে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা শেষ ৩ ওভারে ২৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। 

১৯৮৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সবগুলো বিশ্বকাপেই অংশ নিতে পেরেছিল জিম্বাবুয়ে। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে ৩৫ বছর পর কোন বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাদেরকে ছাড়াই। 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago