ভিহারি-মিঠুনের ব্যাটে আবাহনীর সহজ জয়

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার লিগে উঠেছিল আবাহনী লিমিটেড, ছয়ে থেকে কোনমতে জায়গা পেয়েছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের। মাঠের খেলাতেও দেখা গেল এমন বিস্তর ব্যবধান। ভারতীয় হনুমা ভিহারির ব্যাটে গাজীকে ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী।
Abahani
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার লিগে উঠেছিল আবাহনী লিমিটেড, ছয়ে থেকে কোনমতে জায়গা পেয়েছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের। মাঠের খেলাতেও দেখা গেল এমন বিস্তর ব্যবধান। ভারতীয় হনুমা ভিহারির ব্যাটে গাজীকে ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হনুমা ভিহারিরর সেঞ্চুরিতে আবাহনীর দেওয়া ২৭৯ রানের লক্ষ্যে মাত্র ২০৫  রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।  ৫০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গাজিকে ভুগিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।

সকালে টস জিতে আবাহনীকেই ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল গাজী গ্রুপ। শুরুটাও পেয়েছিল তারা দারুণ। একমাত্র পেসার আবু হায়দার রনি চতুর্থ ওভারেই এনে দেন সাফল্য। এক ছক্কা মেরেই রনির বলে স্টাম্প উড়ে যায় এনামুল হক বিজয়ের। অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক ওপেনার সাইফ হাসান এক প্রান্তে টিকে থেকেও ছিলেন আড়ষ্ট। শম্ভুক গতির ব্যাট করে বাড়ান চাপ। তার ৬৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস শেষ হতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে আবাহনী। পাঁচে নামা নাসির হোসেন ৯ রান করে ফেরার পর বিপাকে পড়া আবাহনীর ঘুরে দাঁড়ানো শুরু।

ভারতীয় ক্রিকেটার হানুমা ভিহারি নিজের প্রথম ম্যাচেই চিনিয়েছেন নিজেকে। মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। মন্থর রানের চাকায় দেন গতি। ১২৪ বলে ১০ চার আর ১ ছক্কায় ১০৯ রান করে যখন ভিহারি ফিরছে ততক্ষণে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে গেছে আবাহনী।

জুটির অপরজন মিঠুন আর আউটই হননি। ৬১ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৭১ রান করে। মাশরাফি মর্তুজার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৪ রান। ফর্ম হারিয়ে আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নামানো হয় আটে। তবে শেষের ঝলকটা তারই। ইনিংসের শেষ তিন বলেই মেরেছেন ছক্কা। এক্সট্রা কাভার, লঙ অন আর লঙ অফ দিয়ে মারা বিশাল তিনটি ছক্কা মিলেছে তার ফিরে আসার আভাস। মাত্র ৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো এই ব্যাটসম্যান।

২৭৯ রানের লক্ষ্যটা বেশ বড়ই। তার আরও বড় হয়ে গেল মুমিনুল হকদের বাজে শুরুতে। ২২ রানেই ফেরেন দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি ও ইমরুল কায়েস। ইমরুলের ব্যাটিং ছিল দৃষ্টিকটু। উইকেটে ২৫ বল খেলে ৫ রান করে ক্যাচ দেন। যতক্ষণ ছিলেন রানের জন্য করেছেন হাঁসফাঁস। চারে নেমে মেঝেদী হাসান আউট হয়েছে কোন রান না করেই। শেষ পর্যন্ত দলকে টেনেছেন মুমিনুল আর ভারতীয় অনুষ্ঠুপ মজুমদার। ৪৬ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন মুমিনুল। ৬৪ রান করা অনুষ্ঠুপকে বোল্ড করেন সানজামুল। শেষ দিকে জাকের আলি অনিকের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। বাকিরা ছিলেন আশা যাওয়ার মিছিলে। 

এই হারে লিগ শিরোপার দৌড় থেকে অনেকখানি পিছিয়ে গেল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। 

Comments

The Daily Star  | English

Raise Rohingya repatriation issue at Asean for quick solution

Interim government Chief Adviser Professor Muhammad Yunus requested Malaysian Prime Minister Anwar Ibrahim to raise and pursue the Rohingya repatriation issue at the Association of Southeast Asian Nations (Asean) for a quick solution...Professor Yunus while holding a joint press appe

17m ago