৭ ছক্কায় দোলেশ্বরকে জেতালেন ফরহাদ রেজা
খেলাঘরের বিপক্ষে ২৫৯ রান তাড়ায় খেই হারিয়ে হারতে বসেছিল প্রাইম দোলেশ্বর। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই ম্যাচে দলকে দারুণ এক জয় পাইয়ে দিয়েছেন ফরহাদ রেজা।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে বারবার রঙ বদলানো ম্যাচ ৩ উইকেটে জিতেছে দোলেশ্বর, উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। পাঁচে নেমে গেছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। ৩৭ বলে ৭ ছক্কা মেরে ৬৮ রান করে ম্যাচের হিরো দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ।
টস জিতে খেলাঘরকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল দোলেশ্বর। ওপেনার রবিউল ইসলাম, অমিত মজুমদার ও অশোক মানারিয়ার তিন ফিফটিতে ২৫৮ রান করে তারা। জবাবে সম্মিলিত ব্যাটিংয়ে ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছে দোলেশ্বর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন আটে নামা অধিনায়ক ফরহাদ রেজা।
২৫৯ রানের লক্ষ্যে ঝড়ো শুরু এনেছিলেন নিদহাস কাপ খেলে আসা লিটন দাস। ১৮ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হয়ে যান লিটন। আরেক ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ছিলেন ঠিক বিপরীত। শম্ভু গতির ব্যাট করে উইকেট আড়কে ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। ৫৩ বল খেলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকেও বড় রান পায়নি দোলেশ্বর। ফজলে মাহমুদ, মার্শাল আইয়ুব, ফরহাদ হোসেনরা কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি। পথ হারানো দোলেশ্বরকে প্রথমে পথ দেখান শরিফুল্লাহ ও ভারতীয় ইকবাল আব্দুল্লাহ। শরিফুল্লাহ ৩০ ও ইকবাল ৩৫ রান করে আউট হয়ে গেলে ফের বিপদে পড়ে গেল আসরের রানার্সআপরা। ১৭২ রানেই পড়ে যায় ৭ উইকেট।
তবে এরপর আর বিপর্যয় হতে দেননি ফরহাদ রেজা। অধিনায়ক সামনে থেকেই হাল ধরে দলকে ভিড়িয়েছেন জয়ের বন্দরে। ৩৭ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে এই অলরাউন্ডার মেরেছেন ৭ ছক্কা আর দুই চার। আরেক প্রান্তে ২৩ বলে ১৯ রান করে শাহানুর রহমান ছিলেন টিকে। তাতেই অনায়াস হয়ে যায় কঠিন হতে থাকা জয়ের পথ।
এর আগে খেলাঘর ইনিংসে এদিনও ব্যাট হাতে বড় ভরসা ছিলেন লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মানারিয়া। ওপেনার রবিউলের ৬২ রানের পর মানারিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ আর অমিত মজুমদার করেন ৫০ রান। তাতে ম্যাচ জেতার মতো পূঁজি পেয়েছিল এবারের লিগে চমক হয়ে সুপারলিগে উঠা দলটি। শেষ দিকে জয়ের কাছে গিয়েও ফরহাদের ব্যাট হার মানতে হয় তাদের।
Comments