‘বল টেম্পারিং করাটা আসলে একটা আর্ট’
কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং করা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া এখন তোলপাড়। সেই বিতর্কের আঁচ স্পর্শ করেছে বাংলাদেশেও। জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের মতে ক্রিকেটে বেআইনি এই কাজটি করার দক্ষতার বিচাকে একে শিল্পের সঙ্গে তুলনা দেওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের কেউ কখনো হাঁটেনি ওই পথে।
বল টেম্পারিং করা ক্রিকেটে বেআইনি। কিন্তু এমন চতুর উপায়ে এই কাজ হয়ে আসছে যে একে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন কেউ কেউ। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন নামকরা ব্যাটসম্যান। বোলারদের সুবিধার জন্যে নিজ দলের কাউকে কখনো এমন কাজ করতে দেখেননি। টেম্পারিং বেআইনি হলেও তা রপ্ত করাটা খুব সহজ নয়। তাই ওইপথে হাঁটেনি কোন বাংলাদেশি, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমরা আসলে করিওনি, দেখিওনি। বল টেম্পারিং করাটা আসলে একটা আর্ট। আমাদের ছেলেরা ওই পথে কখনো হাঁটেনি।’
‘এখন পর্যন্ত আমাদের ছেলেদের এই জিনিসটা দেখিনি। আমরা আসলে অভ্যস্ত না, আমাদের ছেলেরা অভ্যস্ত না।’
আইনে নিষিদ্ধ হলেও বল টেম্পারিং করা না করা নিয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যেই আছে বিতর্ক। ক্যারিবিয়ান গ্রেট ভিভ রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যারি রিচার্ডস, কিউই কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যালডিসহ অনেকেই টেম্পারিংয়ের বৈধতা দিয়ে দেওয়া উচিত বলে মত দিয়ে আসছেন। টেম্পারিং সমর্থন না করলেও বল ব্যবহারে বোলারদের আরেকটু স্বাধীনতার পক্ষে হাবিবুল, ‘আমার মনে হয় বলটা মেইন্টেইন করা। সেই বিষয়ে বোলারদের হয়ত একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এখন যদি দেখেন উইকেট অনেক ফ্ল্যাট হয়ে গেছে। বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। নিয়ম কানুন সব বোলারদের বিপক্ষে। আমি বলব না বলের আকৃতি চেঞ্জ করা বা কোন শিরিষ কাগজ ব্যবহার করে শাইনটা নষ্ট করা, সেটা আমি কখনই সমর্থন করি না। বল মেন্টাইন করার নরমাল প্রক্রিয়াতেই বোলারদের মনে হয় একটু স্বাধীনতা দেওয়া যায়।’
শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ক্যামেরন বেনক্রফট। পরে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জানান তাদের লিডারশিপ গ্রুপের নির্দেশেই হয়েছে এই কাজ। এরপর সমালোচনার মুখে অধিনায়কত্ব হারান স্মিথ। তাকে এক টেস্ট নিষিদ্ধও করা, শাস্তি পান বেনক্রফটও।
Comments