চার সেঞ্চুরির ম্যাচে বৃষ্টি আইনে জিতল আবাহনী

ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজনা, দুই ইনিংসে মিলিয়ে চার সেঞ্চুরি। আবাহনীর দেওয়া প্রায় চারশো রান তাড়া করে প্রাইম দোলেশ্বরের জেতার পরিস্থিতি তৈরি করা। শেষ বিকেলের বৃষ্টিতে সব উলট-পালট, ডি/এল মেথডের নায়ক বনে যাওয়া ম্যাচে বৃষ্টি আইনে আবাহনী জিতল ২০ রানে।
Abahani Limited
২৩৬ রানের জুটির পথে এনামুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি:ফিরোজ আহমেদ

ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজনা, দুই ইনিংসে মিলিয়ে চার সেঞ্চুরি। আবাহনীর দেওয়া প্রায় চারশো রান তাড়া করে প্রাইম দোলেশ্বরের জেতার পরিস্থিতি তৈরি করা। শেষ বিকেলের বৃষ্টিতে সব উলট-পালট, ডি/এল মেথডের নায়ক বনে যাওয়া ম্যাচে বৃষ্টি আইনে আবাহনী জিতল ২০ রানে।

শুক্রবার বিকেএসপিত তিন নম্বর মাঠে এনামুল হক বিজয় আর নাজমুল হোসেন শাস্তর সেঞ্চুরিতে আবাহনী করেছিল ৩৯৩। সেই রান তাড়ায় মার্শাল আইয়ুব ও ফজলে মাহমুদের দারুণ দুই সেঞ্চুরিতে অনেকটা পথ সমান তালে ছুটেছে দোলেশ্বর। ৩৪.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৪৪ রানে থেমেছে তারা। রান তাড়ার মাঝপথে নামা বৃষ্টির কারণে তখন পুননির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ২০ রান কম ছিল তাদের। 

সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রান বন্যায় ভাসে আবাহনী লিমিটেড। দুই ওপেনার এনামুল আর শান্ত ব্যাটের ঝাঁজে বেসামাল হয়ে পড়েন দোলেশ্বরের বোলাররা। ৩৬. ৩ ওভারের ওপেনিং জুটিতেই চলে আসে ২৩৬ রান। ১২৬ বলে ৬ ছক্কা আর ৭ চারে ১২৮ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন এনামুল। দলকে ঠিক ৩০০ রানে গিয়ে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ফেরেন আরেক ওপেনার শান্ত। ১০৬ বলে তার ১২১ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি চার আর ৩ ছক্কা।

স্লগ ওভারে নেমে আবাহনীর রান চূড়ায় নেওয়ার কারিগর ভারতীয় হনুমা ভিহারি ও মোহাম্মদ মিঠুন। ক্রিজে গিয়ে দুজনেই তুলেছেন ঝড়। ৩৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে ভিহারি মারেন ২ ছক্কা। তাকেও থামান শাকিল।

২৪ বলে ৪৭ করে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে আবাহনী গড়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও আবাহনীর। মোহামেডানের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ৩৭১ করেছিল আবাহনী।

বিশাল লক্ষ্য দেখে যারা দোলেশ্বরকে খেলার মধ্যবিরতিতেই বাতিল বলে দিয়েছিলেন, তাদের ভুল প্রমাণ করতেই যেন নেমেছিলেন মার্শাল আর মাহমুদ।

৩৩ রানের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন আর লিটন দাসকে খুইয়ে বসেছিল তারা। তখন জুটি বাঁধেন দুজন। ৬ষ্ঠ ওভারে জুটি বেঁধে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ৩৪তম ওভারে গিয়ে। রান এসেছে ২০৭। দুজনের ব্যাটিংয়ের সময় খেলায় তখন উত্তেজনা চরমে, ইঙ্গিত মিলছেন নাটকীয় সমাপ্তির। ৩০তম ওভারে হঠাৎ নামা বৃষ্টি সব উত্তাপে জল ঢেলে দেয়। তখন দোলেশ্বরের স্কোর ২ উইকেটে ২১৭।

ফের খেলা শুরু হলে ডার্কওয়ার্স-লুইস মেথডে ৩৫ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৫ রান। তখন চলছিল গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, মাঠে নেমে এসেছিল অন্ধকার। খেলতে আপত্তিও ছিল দোলেশ্বরের। আম্পায়ারের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার পর খেলতে নেমে ২৪৪ পর্যন্ত গিয়ে থেমেছে তাদের ইনিংস।

এই জয়ে শিরোপা জেতার আরও কাছে চলে গেছে আবাহনী। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে লিগ জেতার রেস থেকে অনেকখানি ছিটকে গেল দোলেশ্বর।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago