মাশরাফির নিবেদনে মুগ্ধ তামিম
বয়স বাড়লে নাকি পেসারদের ধার কমে। মাশরাফি বিন মর্তুজার হয়েছে উলটো। সময়ের সঙ্গে তিনি যেন আরও ধারালো। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই দিচ্ছে তার প্রমাণ। এমন নৈপুণ্যের পেছনে আছে নিবিড় আত্মনিবেদন। তামিম ইকবাল মনে করেন এমন নিবেদন দেখে শিখতে পারেন তরুণরা।
বয়স পঁয়ত্রিশের ঘরে। ব্যাটসম্যান হলে কথা ছিল না, পেসার হওয়ায় খাটা খাটুনিটা একটু বেশিই। বারবার চোটের ছোবলে দুই পা সুরক্ষা করে নামতে হয় মাশরাফিকে। নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপার তো আছেই। তবু সব সামলে এখনো দেশের সেরা পেসার তিনিই, অন্তত পরিসখ্যানের বয়ান তা-ই। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৫ ম্যাচেই নিয়ে ফেলেছেন ৩৮ উইকেট। লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড হয়ে গেছে।
এমন ফল পেতে অনুশীলনে খামতির কোন সুযোগ। তামিম ইকবাল মনে করেন সামান্য হেলা করলেও এত সাফল্য আসত না মাশরাফির, ‘উনি প্রায় উনার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে। এমন সময়ে এসে এ রকম পারফর্ম করা সহজ নয়। এটাই প্রমাণ করে, উনি ঘরোয়া লিগকেও কতোটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। উনি যদি পাঁচ বা দশভাগ কম দিয়েও খেলতেন, তাহলে এই অর্জন তিনি পেতেন না।’
প্রিমিয়ার লিগে উইকেট শিকারে মাশরাফির আশেপাশেও নাই কোন বোলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাজী অনিকের উইকেট মাশরাফির চেয়ে দশটি কম। জাতীয় দলের পেসারদের মধ্যে যারা নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন কেউই রাখতে পারেননি ছাপ। মাশরাফির এই নিবেদন তরুণ পেসারদের জন্যে অনুকরণীয় বলে মত তামিমের,
‘যারা তাঁকে আদর্শ মনে করেন বা বাংলাদেশ দলের বোলার হতে চান, তাদের জন্য মাশরাফির এই পারফর্ম্যান্স একটা অসাধারণ উদাহরণ।’
জাতীয় দলের খেলা, পিএসএল থাকায় শুরুতে প্রিমিয়ার লিগ খেলার সময় হয়নি তামিমের। সুপার লিগের সময় ফাঁকা ছিলেন। কিন্তু তার দল কলাবাগান তখন নেমে গেছে রেলিগেশন লিগে, তিনি নিজেও পড়েন ইনজুরিতে। তাই এবার প্রিমিয়ার লিগ খেলতে না পারার হতাশা টাইগার ওপেনারের কণ্ঠে, ‘সত্যিই ঢাকা লিগ খেলাটা খুব এনজয় করি। ঘরোয়া এই আসরটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। এই আসরের ক্রিকেটের মান অনেক উঁচুতে। এই আসরে খেলোয়াড়রা শতভাগের চেয়ে বেশি উজাড় করে খেলে। এ রকম একটা আয়োজনে খেলতে না পারাটা হতাশাজনক। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার ইনজুরি থেকে সেরে উঠাই আমার মূল কাজ।’
Comments