‘রোহিঙ্গা বিরোধী’ প্রচারণায় ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়: জাকারবার্গ

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা-বিরোধী প্রচারণা চালাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
mark zuckerberg
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা-বিরোধী প্রচারণা চালাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

গতকাল (২ এপ্রিল) জাকারবার্গ বলেন, রোহিঙ্গা-বিরোধী প্রচারণা চালাতে এবং ‘প্রকৃত সংকট উসকে দিতে’ ফেসবুককে ব্যবহার করার বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন।

অনলাইন নিউজ সাইট ভক্স-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী জানান, রোহিঙ্গা মুসলমান এবং রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে কতটা ব্যবহার করা হয়েছে তা খুঁজে বের করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। খবর, সিঙ্গাপুরের দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমস-এর।

জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের প্রতিষ্ঠানে মিয়ানমার নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমার মনে আছে, এক শনিবারে আমি ফোন পাই এবং আমরা খুঁজে বের করি যে লোকজন সংবেদনশীল বার্তা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জরের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।” এমনটি দুই পক্ষ থেকেই করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

“আমি মনে করি, এটি পরিষ্কার যে লোকজন আমাদের এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে সংঘাত ছড়াচ্ছিল।… সংঘাত ছড়িয়ে দিতে পারে এমন বার্তা পড়ার ব্যবস্থা আমরা বন্ধ করে দেই,” যোগ করেন জাকারবার্গ।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কথিত বিদ্রোহীদের আক্রমণের পর দেশটির সেনাবাহিনী জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালালে নতুন করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই হামলাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে আখ্যা দেয়।

Comments