কারাগারে সালমান খান: জেনে নিন ১০ তথ্য

বিপন্ন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর আদালত। রায় ঘোষণার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান
৫ এপ্রিল ২০১৮, ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর আদালতে আসেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। ছবি: রয়টার্স

বিপন্ন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর আদালত। আজ (৫ এপ্রিল) রায় ঘোষণার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের পাঠকদের জন্যে:

১. আদালতে রায় ঘোষণার সময় সালমান খান এসেছিলেন কালো শার্ট পড়ে। তিনি কালো রঙকে ‘সৌভাগ্যের প্রতীক’ হিসেবে মনে করেন।

২. রায় ঘোষণার পর সালমানের দুই বোন আলভিরা এবং অর্পিতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বলে জানা যায়।

৩. রায় শেষে সালমান খানকে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০০৬ সালে এই কারাগারে এই অভিনেতার পাঁচ রাত কেটেছিল।

৪. যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আরও রয়েছেন ধর্ষণ মামলার আসামি কথিত ধর্মগুরু আসারাম, খুনের আসামি শম্ভু লাল রায়গর, কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণই।

৫. লরেন্স বিষ্ণই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে সালমানকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে আসছেন। কেননা, তার সম্প্রদায়ের লোকেরা কৃষ্ণসার হরিণকে ‘দেবতা’ মনে করেন।

৬. আদালতের নথিতে বলা হয়, একদল কৃষ্ণসার হরিণ দেখে এই অভিনেতা গুলি করে দুটি হরিণকে হত্যা করেন।

৭. মামলার শুনানিতে যোধপুরের কানকানি গ্রামের বিষ্ণই সম্প্রদায়ের লোকসহ ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তারা গুলির শব্দ শুনতে পেরেছিলেন বলে আদালতকে জানান।

৮. ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলাকালে যোধপুরের কানকানি গ্রামে দুটি কৃষ্ণহরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সালমান ও তার সহ শিল্পীদের বিরুদ্ধে।

৯. প্রায় বিশ বছর সালমান খান যুক্তি দেখাচ্ছিলেন যে, সে সময় তার কাছে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।

১০. অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

Comments

The Daily Star  | English

Labour bill put on the shelf

In an almost unheard-of move, President Mohammed Shahabuddin has sent a labour law amendment back to parliament for reconsideration, expressing concern over the proposed punishment of workers for wrongdoings.

8h ago