‘অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথ ধরেই চলেছি’

২০১৬ সালের তুলনায় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বেড়েছে। সেই সময়, ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ হিন্দু এবং বাকি অন্য ধর্মের মানুষ ছিলেন। পরের বছর ২০১৭ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে।
কলকাতার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন বা আইসিসিআরের সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে শনিবার বক্তৃতা দেন তারানা হালিম। ছবি: স্টার

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জামাতুল মুজাহিদিন, হিজবুত তাহরির এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের উত্থান ঘটেছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হয়ে পড়েছিল ভীত সন্ত্রস্ত। কিন্তু এরপর যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়  এলো, তখন প্রমাণ করেছি আমরা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথ ধরেই চলেছি।”

কলকাতায় সম্প্রীতির বাংলাদেশ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারনা হালিম এসব কথা বলেছেন।

তারনা হালিম বলেন, ২০১৬ সালের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বেড়েছে। সেই সময়, ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ হিন্দু এবং বাকি অন্য ধর্মের মানুষ ছিলেন। তবে পরের বছর ২০১৭ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে।

কলকাতার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন বা আইসিসিআরের সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বক্তা হিসাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারনা হালিম উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও বক্তব্য রাখেন।

ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে হিন্দুর রক্ত কিংবা মুসলিমের রক্ত চাই না। আমরা চাই রক্ত। সেটাই সম্প্রীতি। বাংলাদেশকে সম্প্রীতির নিদর্শন বলেও দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। তিনিও বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির নানা তথ্য তুলে ধরেন। এর আগে অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার প্রথম সচিব মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, জাতির জনক স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন তখন কলকাতার ১৬টি দৈনিক পত্রিকা একযোগে সেই খবর প্রকাশ করেছিল।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারসহ উত্তরপূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে কয়েক বছর ধরে সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল-রানীগঞ্জে রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর দেশ বিদেশে খবরের শিরোনামে জায়গা পেলো। ঠিক সেই সময়ে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে বাংলাদেশ ভারতের এই রাজ্যকে বেছে নেওয়াকে রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। অন্যদিকে আগামী বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ণায়ক লোকসভা নির্বাচনও। শুধু তাই নয়, আগামী এক মাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে তিন দফায় স্থানীয় সরকার অর্থাৎ তিন স্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই মুহূর্তে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের “সম্প্রীতির বাংলাদেশ” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার বিশ্লেষকদের কৌতূহলী করে তুলেছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago