তুষারের কীর্তির পর লিটন-আফিফের ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরি
তুষার ইমরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চলকে বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। প্রতিপক্ষকে অল আউট করতে ৫০ ওভারের মতো হাতে ছিল তাদের। তবে লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের দারুণ দুই সেঞ্চুরিতে ম্যাচ বাঁচিয়েছে পূর্বাঞ্চল।
সিলেটে পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ হয়েছে নিষ্প্রাণ ড্র । শুক্রবার শেষ দিনে ৪১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। লিটন ও আফিফের অপরাজিত দুই শতকে ১ উইকেটে পূর্বাঞ্চল ২২৪ তোলে নিলে ড্র মেনে নেয় দুই দল।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করা একমাত্র বাংলাদেশি তুষার দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন অপরাজিত ১০৩। শুক্রবার সেঞ্চুরিতে পৌঁছেই মাংশ পেশির টানে অবসর নেন তিনি।
পরে ঝড় ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৫ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৬৬। দ্রুত ১৯ রান করে লিড বাড়ান অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। লাঞ্চের দুই ওভার পর একদম নিরাপদে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল।
দিনের বাকি দুই সেশনে ৪১৫ রান করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। পূর্বাঞ্চলের মূলত লক্ষ্য ছিল টিকে থাকা। সেই কাজটা ভালোভাবেই সামলান লিটন ও আফিফ। ইমতিয়াজ হোসেনকে হারিয়ে নড়বড়ে শুরুর পর ২০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সব শঙ্কা দূর করে দেন লিটন আর আফিফ। প্রথম শ্রেণিতে নিজের দশম সেঞ্চুরির দিনে ১২৯ বলে ১১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন লিটন। প্রথম ইনিংসেও ৭৫ রান করেছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। এরপরই ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
এই ড্রয়ে ৪ রাউন্ড শেষে ৩৬ পয়েন্ট নিয় উত্তরাঞ্চলের পর পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকল পূর্বাঞ্চল।
Comments