‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর দাবি বিএনপি-জামাতে ইসলামী বা তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।
quota reform press briefing
১৬ এপ্রিল ২০১৮, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। ছবি: আশিক আব্দুল্লাহ অপু

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর দাবি বিএনপি-জামাতে ইসলামী বা তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো আগামী দুই দিনের মধ্যে তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়। তা না হলে পুনরায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার কথাও বলেন তারা।

আজ (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ দাবিগুলো জানানো হয়।

এক প্রতিবেদনে দৈনিক ইত্তেফাক আন্দোলনকারীদের একজন নেতাকে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির কর্মী বলে উল্লেখ করে। গত ৯ এপ্রিল তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়।

প্রতিবেদনটিকে “ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত” বলে মন্তব্য করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সহ-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপি অথবা জামাত-শিবিরের কোনো সংযোগ নেই।

উপরন্তু, আন্দোলনকারীরা দেশের স্বাধীনতার চেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ এবং তাদের অনেকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ছাত্র রাশেদ খান বলেন, তিনি একজন সাধারণ ছাত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে এই আন্দোলন এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে “সময়োপযোগী, যৌক্তিক এবং অরাজনৈতিক” হিসেবে উল্লেখ করে আন্দোলনকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ধরনের মিথ্যা খবরে কান না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কোটা সংস্কার সংক্রান্ত তাদের পাঁচ দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু, ৮ এপ্রিল পুলিশ সেই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালালে তা তীব্র আকার ধারণ করে। সেই হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

পরে, আন্দোলনের তীব্রতা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ১১ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:

কোটা পদ্ধতি বাতিল: প্রধানমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago