এবার জিতল মুম্বাই তবে বিবর্ণ মোস্তাফিজ

আগের দুই ম্যাচে বল হাতে উজ্জ্বল থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। হেরেই চলেছিল তার দল। এবার টানা তিন হারের পর চতুর্থ ম্যাচে অবশেষে জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে তাতে কোন ভূমিকা নেই মোস্তাফিজের। বরং দলের সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন তিনিই। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে বিস্ফোরক ইনিংসে মুম্বাইর নায়ক রোহিত শর্মা।
মোস্তাফিজের খরুচে দিনে ম্যাকল্যাগানের বাজিমাত। ছবি: এএফপি

আগের দুই ম্যাচে বল হাতে উজ্জ্বল থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। হেরেই চলেছিল তার দল। এবার টানা তিন হারের পর চতুর্থ ম্যাচে অবশেষে জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে তাতে কোন ভূমিকা নেই মোস্তাফিজের। বরং দলের সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন তিনিই।  শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে বিস্ফোরক ইনিংসে মুম্বাইর নায়ক রোহিত শর্মা।

ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করে রোহিতের তাণ্ডবে পাহাড় গড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়াস। রয়েল চ্যলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান তাড়ায় বিরাট কোহলির একক চেষ্টা বিফলে গেছে বাকিদের ব্যর্থতায়। মুম্বাইর দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্যে  ৮ উইকেটে ১৬৮ রানে থেমেছে কোহলির দল। হেরেছে ৪৬ রানের বড় ব্যবধানে।

দলকে জেতাতে না পারলেও ৬২ বলে ৯২ করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এর আগে রোহিত শর্মার করা ৫২ বলে ৯৪ রানের ইনিংসটিই ম্যাচ সেরা।

২১৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন কোহলি। আরেক ওপেনার কুইন্টেন ডি ককও পাচ্ছিলেন বড় শট। চার ওভারেই ৪০ তুলে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। কিউই পেসার মিচেল ম্যাকল্যাগানের বলে ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্স একই ওভারে ফিরে যেতেই খেই হারায় কোহলিরা। ব্যর্থ হন মানদ্বীপ সিং, কোরি আন্ডারসনরাও। কোহলির একার পক্ষে পাহাড় ডিঙানো সম্ভব হয়নি।

দারুণ বল করে বেঙ্গালুরুর রাশ টেনে ধরেন জাসপ্রিন্ট বোমরাহ, ম্যাকল্যাগান, হার্দিক পান্ডিয়ারা। তবে এদের ভিড়ে একেবারেই বিবর্ণ ছিলেন মোস্তাফিজ। বেদম মার খেয়েছেন কোহলি-ডি ককদের হাতে। প্রথম দুই ওভারেই দেন ২৪ রান। পরের দুই ওভারে আরও খরুচে তিনি। চার ওভারের স্পেল পুরো করে ৫৫ রান গুনেছেন। ছক্কাই খেয়েছেন ৪টি।

মুম্বাইর সেরা বোলার পান্ডিয়া। চার ওভার পুরো করে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভারে সমান রান দিয়ে ২ উইকেট বোমরাহর। ৩ ওভার বল করে ম্যাকলাগ্যানের উইকেট ওই দুটিই।

মঙ্গলবার রাতে টস জিতে মুম্বাইকেই আগে ব্যাট করতে দিয়েছিল বেঙ্গালুরু। রানের খাতা খোলার আগে দুই উইকেট খুইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা হয় ভয়াবহ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করেন রোহিত। ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে ১০ চার আর ৫ ছক্কায়  ৫২ বলে ৯৪ রান করে আউট হন তিনি। এভিন লুইসের ব্যাট থেকে এদিনও এসেছে রান। ৪২ বলে ৫ ছক্কায় ৬৫ করে আউট হন তিনি। বাকিরা আর কেউ বড় রান না পেলেও এই দুজনের ঝড়েই দুশো ছাড়াতে পারে মুম্বাই।

 

Comments