নিহত রাজীবের ২ ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল

নিজের জন্মদিনে রাজধানীতে বাসচাপায় প্রাণ হারানো কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেনের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’-খ্যাত অভিনেতা অনন্ত জলিল।
Rajib Hossain death
রাজীব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজের জন্মদিনে রাজধানীতে বাসচাপায় প্রাণ হারানো কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেনের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’-খ্যাত অভিনেতা অনন্ত জলিল।

গতকাল (১৭ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

স্ত্রী-সন্তানের ছবিসহ পোস্টটিতে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল লিখেন, “…কিছু দিন আগে বাস দুর্ঘটনায় রাজীব নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার হাত হারিয়ে ছিলেন। এবং আজ তিনি পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে। বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলো। কিন্তু রাজীবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে।”

“তাই আমার জন্মদিনে আমি চাচ্ছি যে পরিবার হারা এই দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে,” যোগ করেন অনন্ত জলিল।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল বাংলামটর এলাকায় ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুটি বাসের রেষারেষিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীবের ডান হাত বাস দুটির মাঝখানে চাপা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পথচারীরা তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

গতকাল (১৭ এপ্রিল) চিকিৎসকরা রাজীবের লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

২০০৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর রাজীব তাঁর দুই ভাই আবদুল্লাহ হৃদয় (১৪) এবং মেহেদী হাসান বাপ্পীর (১৫) অভিভাবক ছিলেন। রাজীব তাঁর মাকে হারান যখন তাঁর বয়স ছিল আট বছর এবং তাঁর ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল ১০ মাস। এরপর থেকে আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের দেখভাল করতেন। পরে, রাজীব লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করে তাঁর ভাইদের পড়ালেখার খরচ চালাতেন।

Comments

The Daily Star  | English
Outcomes of Cop28

The consensus and clashes COP28 brought up

It is almost certain that in the end, some progress would be made on some of the contentious issues, but a decision to act on key areas will most likely be kicked down the road once again.

1h ago