মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় উইলমার-আদানি
চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে উইলমার ও আদানি গ্রুপ ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করে এখানে যৌথভাবে খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করতে চায় সিঙ্গাপুর ও ভারতের এই প্রতিষ্ঠান দুটি।
গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিঙ্গাপুর সফরের সময় মীরসরাইয়ে বিনিয়োগের বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় উইলমার ইন্টারন্যাশনালের চিফ অপারেটিং অফিসার পুয়া সেক গুয়ান বিনিয়োগের জন্য মীরসরাইয়ে ৫০ একর জমি চাইলে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দেখে যেতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সাথে জমি দেওয়ার ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জানান, সিঙ্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে উইলমার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুওক খন হং মীরসরাই সফর করে যান। সেখানকার পুরো ব্যবস্থা দেখে তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এ কারণেই তিনি ৫০ একর থেকে বাড়িয়ে ১০০ একর জমি চেয়ে গেছেন।
ইউলমার গ্রুপের চেয়ারম্যানের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে এখন তাদের বিস্তারিতভাবে বিনিয়োগ পরিকল্পনা জানাতে বলেছে বেজা।
পবন চৌধুরীর মতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মানসিকতা তৈরি হবে। উন্নত মানের পণ্য তৈরি হলে আখেরে বাংলাদেশের ভোক্তারাই লাভবান হবেন বলেও মনে করেন তিনি।
উইলমার ও আদানির যৌথ বিনিয়োগে এখন বাংলাদেশ ভোজ্য তেল শোধন ও বিপণন করছে বাংলাদেশ এডিবেল ওয়েল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের আইনুল হক সরদার জানান, মীরসরাইয়ে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা বলা হলেও এটা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ এডিবেল ওয়েল লিমিটেড ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা বাংলাদেশে রূপচাঁদা, মিজান, কিংস, ফরচুন, ভিওলা ও লাকি-র মত ব্র্যান্ডের ভোজ্য তেল বিক্রি করছে। এর মধ্যে রূপচাঁদা সয়াবিন ও সরিষার তেল, কিংস সূর্যমুখী তেল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ব্র্যান্ডগুলোর সাফল্যের অনুপ্রেরণাতেই এখন বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ইউলমার।
উপযুক্ত পরিবেশ পেলে আদানিও উইলমারের সাথে ব্যাপক মাত্রায় বিনিয়োগ বাড়াতে পারে বলে যোগ করেন আইনুল হক সরদার।
Comments