বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী, তাই সীমান্তে ৬ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখলো অন্তঃসত্ত্বাকে

বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর। ছবি: স্টার

অপরাধ স্বামীর ভারতীয় পাসপোর্ট আর স্ত্রীর বাংলাদেশি। আর তাই বিবাহসূত্রে ভারতীয় এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে পেট্রাপোল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বামী।

আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এখন তিনি স্বামীর বাড়ি বালিগঞ্জের রয়েছেন।

যদিও গোটা ঘটনা দায় অস্বীকার করেছে পেট্রাপোলের অভিবাসন দফতর । তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি ছিল না। পাসপোর্টটির প্রায় ১০০ শতাংশই ‘ড্যামেজড’ । আর সে কারণেই প্রয়োজনীয় সিল দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এর জন্য তাদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।

পেট্রাপোল থানার পুলিশ বলছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করে তারা মামলা নথিভুক্ত করবে।

পেট্রাপোল সীমান্তের ইমিগ্রেশনের বাংলাদেশি নাগরিকদের হেনস্থার অভিযোগ আগেও বহুবার হয়েছে। তবে এবার এই ঘটনা নিয়ে কলকাতার গণমাধ্যম গুলো সরব ভূমিকা নিয়েছে।

আনন্দ দাশগুপ্তের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শনিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশ থেকে স্ত্রীসহ কলকাতার বালিগঞ্জের ফিরছিলেন তিনি এবং তার স্ত্রী অর্পিতা পাল। কাস্টমস শেষ করে দীর্ঘ লাইন দিয়ে ইমিগ্রেশনের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানোর পর তাদের পাসপোর্ট দুটোই জব্দ করে নেওয়া হয়। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা স্বপন দফাদার তাদের প্রায় ছয় ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা বলার পরও তাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখায়। ফলে শুরু হয় তার রক্তক্ষরণ। স্বামীর চোখে পড়লে পেট্রাপোল থানায় খবর দেন স্বামী আনন্দ দাশ। পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে এবং বনগাঁ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওই গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে।

এদিকে অভিযুক্ত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা স্বপন দফাদারের দাবি এই ঘটনায় তাদের কোনো দোষ নেই। ইমিগ্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। তাছাড়াও ওই মহিলা যে অন্তঃসত্ত্বা সেটাও তাদের জানানো হয়নি। যদিও অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ অর্পিতা পাল জানিয়েছেন, তিনি বহুবার তার শারীরিক অবস্থার কথা বলেছেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা কোনো কথা শোনেননি। বরং এক পর্যায়ের তার কাছ থেকে টাকাও দাবি করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

14m ago