২১ মাস পর ভারত থেকে দেশে ফিরল দুই কিশোর

বাড়ির কাউকে না বলে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে আজমির শরিফ দেখতে যাওয়ার পথে রনি-সহ পাঁচ বন্ধু হিলি সীমান্তে বিএসএফের কাছে ধরা পড়েছিল।
বাড়িতে না জানিয়ে ভারত ভ্রমণ করতে গিয়ে বিএসএফের কাছে ধরা পড়েছিল এই দুই বাংলাদেশি কিশোর। ছবি: স্টার

একুশ মাস নিরাপত্তা হেফাজত আটক থাকার পর দুই বাংলাদেশি কিশোরকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভারত-বাংলাদেশ হিলি সীমান্ত দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়। নিজের দেশে ফিরতে পেরে খুশি মহম্মদ রনি এবং মহম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামের ওই দুই কিশোর।

জানা যায়, রনির বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার মুলাদির থানার পূর্বটাইকা। আর দেলোয়ারের ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ি থানা এলাকার অসিম বাজারের তিতারচালা গ্রামে।

রনি ও দেলোয়ার দেশে ফিরে যেতে পারলেও রনির বাকি চার বন্ধু শান্ত, নুরুল চাঁদ, শরীফ হোসেন এবং ইমরান এখনও দেশে ফিরতে পারেনি। তাদেরও শিগগির দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের চাইল্ড-লাইনের কোঅর্ডিনেটর সূরজ দাস জানিয়েছেন, বাড়ির কাউকে না বলে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে আজমির শরিফ দেখতে যাওয়ার পথে রনি-সহ পাঁচ বন্ধু হিলি সীমান্তে বিএসএফের কাছে ধরা পড়ে। একই দিন ধরা পড়ে দেলোয়ার হোসেন নামে আরও এক বাংলাদেশি কিশোর। ভারত ভ্রমণের জন্য সেও বাড়ির কাউকে না বলে অনুপ্রবেশ করেছিল। ১৮ বছরের কম বয়স হওয়ায় তাদের প্রত্যেকে আদালতের নির্দেশে দক্ষিণ দিনাজপুরের শুভায়ন হোমে পাঠানো হয়। নিরাপত্তা হেফাজতে এতো দিন সেখানেই তাদের রাখা হয়েছিল। 

তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের শুভায়ন হোম, জেলা প্রশাসন, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যস্থতায় প্রায় দুই বছর পর আজ ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল।

হিলি সীমান্তে যখন ওই দুই কিশোরকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তখন বাংলাদেশের হিলি সীমান্ত থানার ওসি আফতাব হোসেন ছাড়াও ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা শিপ্রা রায়, জেলা গোয়েন্দা কর্মকতা বিকাশ মণ্ডল, শুভয়ানের প্রতিনিধি পরেশ হাজরা উপস্থিত ছিলেন।

শুভায়ন হোমে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় এখন ২৬ জন কিশোর দিন গুণছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago