চলতি বছরে সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি হত্যার খবর নেই: বিএসএফ মহাপরিচালক

bgb-bsf briefing
ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তরে আয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহাপরিচালকদের বৈঠকে বিএসএফ মহাপরিচালক কেকে শর্মা দাবি করেন যে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে কোনো বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর নেই। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর হাতে কোনো বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর নেই বলে দাবি করেছেন বিএসএফ মহাপরিচালক কেকে শর্মা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বিএসএফ মহাপরিচালকদের বৈঠকে আজ (২৬ এপ্রিল) কেকে শর্মা বলেন, “যেকোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা খুবই সতর্ক রয়েছি।”

পাঁচদিনের এই বৈঠক ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত বিজিবি সদরদপ্তরে শুরু হয় গত ২৩ এপ্রিল।

সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, অপহরণ এবং আটকের বিষয়গুলো আলোচনায় মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে।

এদিকে, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, চলতি বছরে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিএসএফের নির্যাতনে তিনজন বাংলাদেশি নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, তিনজনকে অপহরণ করা হয়েছে।

এই মানবাধিকার সংস্থাটির হিসাবে ২০১৭ সালে বিএসএফের হাতে ২৪জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৫জন। এছাড়াও, ৪০জনকে অপহরণ করা হয়েছে।

বৈঠকে বিএসএফ মহাপরিচালক ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদিকে, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম ১৫ সদস্যের বাংলাদেশি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে উভয় পক্ষই মানব পাচার এবং অবৈধ যাতায়াত রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে। অপরাধ দমনে তথ্য আদান-প্রদান এবং স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও উভয় পক্ষ সহমত প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ দলে অন্য সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশন এবং জরিপ বিভাগের প্রতিনিধিগণও।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank governor Ahsan H Mansur's remarks

Bangladesh in ‘intensive discussion’ with UK to recover laundered money: BB governor

Mansur said Bangladesh had requested mutual legal assistance from several countries, including the UK

2h ago