দ. কোরিয়ায় প্রবেশ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিম

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের মাটিতে পা রেখে হাঁটার সময় তিনি ‘আবেগাপ্লুত’ হয়ে পড়েছিলেন। এক দশকেরও অধিক সময় পর আন্তঃকোরীয় সম্মেলন তিনি একথা বলেন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের মাটিতে পা রেখে হাঁটার সময় তিনি ‘আবেগাপ্লুত’ হয়ে পড়েছিলেন। এক দশকেরও অধিক সময় পর আন্তঃকোরীয় সম্মেলন তিনি একথা বলেন।

২০০৭ সালে পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, সীমান্তের ডিমার্কেশন লাইনের সিমেন্টের ব্লক অতিক্রম করা ‘অতি সহজ’ ছিল। তবে তিনি একথা ভেবে বিস্মিত হন যে, এটা ঘটতে কেন এক দশকের বেশি সময় লাগল।

এর মধ্য দিয়ে কিম হলেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা যিনি কোরীয় যুদ্ধের অবসানের পর দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন।

ডিমিলিটারাইজ জোনে যুদ্ধবিরতি পালন করা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর ভেতর পানমুনজম গ্রামের পিস হাউজে কিম বলেন, ‘আমি দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রেখে প্রায় ২শ’ মিটার পথ হেঁটেছি। এ সময় আমি অনেক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।’

তিনি মুনকে বলেন, এর মধ্যদিয়ে আন্তঃকোরীয় ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো।

আন্তরিক প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনার ইঙ্গিত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি এখানে এসেছি।’

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০০ ও ২০০৭ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে এ ধরণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিক থেকে এটি হচ্ছে তৃতীয় সম্মেলন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখার কিমের ‘কঠিন সিদ্ধান্তের’ প্রশংসা করেন। তিনি আশা করে বলেন, ‘এ সম্মেলনে এমন একটি জোরালো চুক্তিতে পৌঁছাবো যাতে আমরা শান্তিকামী কোরীয় জনগণকে বড় একটি উপহার দিতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন প্রথমবারের মতো সীমান্ত অতিক্রম করছিলেন তখন পানমুনজম গ্রাম শান্তির প্রতীকে পরিণত হয়, বিভক্তির প্রতীকে নয়।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago