আফগানিস্তানে যৌথ বিনিয়োগে সম্মত ভারত ও চীন
আফগানিস্তানে প্রথমবারের মত যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চলেছে বৈরি প্রতিবেশী ভারত ও চীন।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছেন, দুই দিনের শীর্ষ বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ ব্যাপারে যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইউহানে এই দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
তবে বিনিয়োগের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত না জানিয়ে ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আফগানিস্তানের অবকাঠামো ও জনসম্পদ উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সম্ভবত প্রথমবারের মতো তৃতীয় কোনো দেশে একযোগে কাজের জন্য সম্মত হলো আঞ্চলিক এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।
উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তানে উপস্থিতি রয়েছে ভারতের। দেশটিতে বাঁধ ও মহাসড়কের মত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামতে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে নয়া দিল্লি। অন্যদিকে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর দিক থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে কাবুলকে পাশে পেতে চাইছে বেইজিং।
তবে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ভারতের উপস্থিতি ভালো চোখে দেখে না পাকিস্তান। কাবুলের সরকারের ওপর নয়া দিল্লির প্রভাব হ্রাস করতে অতীতেও বিভিন্ন শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ দেখিয়ে ইসলামাবাদ। এছাড়াও তালেবানকে আলোচনার টেবিলে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে চীন ও পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের তরফ থেকে নানা উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তালেবানকে শান্তির পথে আনতে পারেনি।
আর আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে ভারতের নেতারা তালেবানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলার নীতি নিলেও চীন চায় সব ধরনের আলোচনায় তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকুক।
Comments