ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকিপূর্ণ ধারা বাতিল চায় টিআইবি

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর বিতর্কিত বেশ কয়েকটি ধারা পুনর্বিবেচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আইনের এই ধারাগুলো গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে বলে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি মনে করে।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর বিতর্কিত বেশ কয়েকটি ধারা পুনর্বিবেচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আইনের এই ধারাগুলো গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে বলে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি মনে করে।

আজ এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সকল নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।’

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রাক্কালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানালো টিআইবি। আগামীকাল ৩ মে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হবে।

যৌক্তিক বিধি নিষেধ সাপেক্ষে সংবিধান মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কাছে অসহায় উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীসহ মূল ধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই একদিকে অভূতপূর্ব  ভীতি ও এর কারণে স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিয়েছে। তদুপরি প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারাসমূহ প্রয়োজনীয় সংশোধন ছাড়া প্রণীত হলে সার্বিকভাবে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হবার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।’

টিআইবি মনে করে প্রস্তাবিত আইনটি পাশ হলে দুর্নীতিবাজরা একে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। সেই সাথে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ করা গণমাধ্যমের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে।  ফলে দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Of Hilsa and its hunters

On the corner of a crowded and noisy floor, a bespectacled man was calling out bids for a basket of Hilsa fish. He repeated the prices quoted by traders in a loud, rhythmic tone: “1,400-1,420-1,450…”

13h ago