ঢাকায় নির্মিত হচ্ছে বিলাসবহুল ৬টি হোটেল

আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বমানের বিলাসবহুল ছয়টি হোটেল উদ্বোধন হবে ঢাকায়। পর্যটক ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ঢাকায় আসা বিদেশিদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এসব হোটেল তৈরির কাজ এখন পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা
চলতি বছরের শেষ দিকে অতিথিদের জন্য দরজা খুলবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার। ছবি: আমরান হোসেন

আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বমানের বিলাসবহুল ছয়টি হোটেল উদ্বোধন হবে ঢাকায়। পর্যটক ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ঢাকায় আসা বিদেশিদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এসব হোটেল তৈরির কাজ এখন পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।

রাজধানীর নিকেতন এলাকায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭০ কক্ষের এরকমই একটি হোটেল নির্মাণ করছে বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। ঢাকায় বিলাসবহুল হোটেলের চাহিদা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন বলছিলেন, ‘দেশের অর্থনীতির আকার বড় হওয়ার সাথে সাথে এ ধরনের হোটেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

বেঙ্গল গ্রুপের এই হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে সুইজারল্যান্ডের হোটেল চেইন সুইসটেল হোটেলস এন্ড রেসোর্টস। মো. জসীম উদ্দিনের ভাষায়, সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত এমন একটি বিজনেস হোটেল তারা তৈরি করছেন যা ঢাকায় নেই।

ঢাকায় বিলাসবহুল নির্মাণে বেঙ্গল একা নয়। যমুনা, মরিয়ম ও প্রিমিয়ার গ্রুপের মত দেশীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও হোটেল ব্যবসায় বড় আকারে বিনিয়োগ করেছে।

পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রো রেল, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও তৈরি পোশাক ব্যবসার সম্প্রসারণের সাথে ঢাকায় বিলাসবহুল হোটেলের চাহিদাও বাড়ছে।

একজন ব্যাংকার ও দেশে হোটেল ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এসব হোটেলে নির্মাণে প্রায় ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।

মরিয়ম গ্রুপ হাতিরঝিল এলাকায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০০ কক্ষের একটি বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণ করছে। এই হোটেলের নাম রাখা হবে হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টার। এ বছরের শেষ নাগাদ অতিথিদের জন্য এর দরজা খুলবে। হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলম আহমেদ বলেন, ‘বিলাসবহুল হোটেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ঢাকায়। কিন্তু সেই মানের হোটেলের অভাব রয়েছে।’

প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় ৭০০ কক্ষের ‘জেডব্লিউ ম্যারিয়ট ঢাকা’ নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল হোটেল চেইন ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চুক্তি করেছে যমুনা গ্রুপ। গুলশানে প্রিমিয়ার গ্রুপ জেডব্লিউ ম্যারিয়টের সিস্টার ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তি করে নির্মাণ করছে কোর্টইয়ার্ড বাই ম্যারিয়ট। ওয়েস্টিন ঢাকার প্যারেন্ট কোম্পানি ইউনিক গ্রুপ বনানীতে শেরাটন ঢাকা নির্মাণ করছে। আর থাইল্যান্ডের হসপিটালিটি গ্রুপ দুসুইট ইন্টারন্যাশনালের সাথে যুক্ত হয়ে লেকশোর হোটেল উত্তরায় ১৫০ কোটি বিনিয়োগে বিজনেস হোটেল নির্মাণ করছে।

হোটেল ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন ঢাকায় সবগুলো বিলাসবহুল হোটেল মিলিয়ে কক্ষ রয়েছে ১,২৫০টি। নির্মাণাধীন হোটেলগুলো চালু হয়ে গেলে এই সংখ্যাটি দ্বিগুণের চেয়েও বেশি হবে। এতে যেমন প্রতিযোগিতা বাড়বে, ফলাফল হিসেবে রুমের ভাড়া কমবে। এতে আখেরে লাভবান হবেন গ্রাহকরাই।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago