আমিনুলের পর কেভিন ও’ব্রায়েন
দেশের অভিষেকে এর আগে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনজন। সর্বশেষ জন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার পরেই এলিট এই ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দলের ইনিংস হার এড়ানোর পর আরও বড় কিছুর দিকে ছুটছেন তিনি।
আইরিশ ক্রিকেটের মোড় ঘোরানোর অন্যতম কাণ্ডারি কেভিন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচেও ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেসময় বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে দলকে জিতিয়ে নায়ক বনা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবার টেস্ট ক্রিকেটে কঠিন পরিস্থিতিতে করলেন সেঞ্চুরি।
এর আগে দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান (১৬৫*), জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্টে ডেভ হটন(১২১) ও বাংলাদেশের অভিষেকে আমিনুল ইসলাম (১৪৫)।১১৮ রানে অপরাজিত থাকা কেভিনের সামনে সুযোগ আছে সবাইকে ছাড়িয়ে দেশের অভিষেকে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলার।
ডাবলিন টেস্টে ফলো অনে পড়ে ইনিংস হারের সামনে ছিল আয়ারল্যান্ড। কেভিনের সেঞ্চুরিতে চতুর্থ দিন শেষে ১৩৯ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে তারা। ২১৬ বলে ১২ চারে ১১৮ রানে অপরাজিত আছেন কেভিন।
দিনের শুরুটা অবশ্য বিপর্যয়ে হয়েছিল আইরিশদের। আগের দিনে ৬৪ রান নিয়ে দুই ওপেনার খেলতে নামার পরই পড়ে যায় দুই উইকেট। ৪৩ রান করে রান আউট হন এড জয়েস। ওয়ানডাউনে নামা অ্যান্ড্রু বিলবার্নি দ্বিতীয় ইনিংসেও আউট হন শূন্য রানে।
রান পাননি কেভিনের বড় ভাই নেইল ও’ব্রায়েন। থিতু হয়ে ফেরেন অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। ৯৫ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে তখন ধুঁকছে আইরিশরা। তখন কেভিনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্টুয়ার্ট টমসন। মোহাম্মদ আমির,মোহাম্মদ আব্বাসদের পেস সামলে এগুতে থাকেন তারা। শক্ত প্রতিরোধে গড়েন টেস্টে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম শতরানের জুটি। ১১৪ রানের জুটি ভাঙে লেগ স্পিনার শাদাব খানের বলে। ৫৩ করে বোল্ড হন টমসন।
দিনশেষেও অবিচলিত তিনি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ১৮৯ বলে। ম্যাচের পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে শেষ দিনের রোমাঞ্চের। কেভিনের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে আছে আইরিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩১০/৯ (ডি.)
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৩০
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: (ফলো অনের পর) ১২২ ওভারে ৩১৯/৭ (আগের দিন ৬৪/০) (জয়েস ৪৩, পোর্টারফিল্ড ৩২, বালবার্নি ০, নিয়াল ১৮, স্টার্লিং ১১, কেভিন ১১৮*, উইলসন ১২, টমসন ৫৩, কেইন ৮*; আমির ৩/৫৭, আব্বাস ২/৫৪, রাহাত ০/৭৫, ফাহিম ০/৫১, শাদাব ১/৬৩)।
Comments