এমন নিষিদ্ধে ‘ইতিবাচক’ দিক দেখছেন সাব্বির

গত জানুয়ারিতে জাতীয় লিগের ম্যাচে এক কিশোরকে পিটিয়ে ছয় মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন সাব্বির রহমান। এই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি, তবে আন্তর্জাতিক সিরিজ শেষে বাকি সতীর্থরা যখন বিসিএল ও প্রিমিয়ার লিগে তখন সাব্বিরের ছিল অখণ্ড অবসর। এই সময়টা নাকি বেশ ভালো কেটেছে তার। এমন ‘নির্বাসনের’ ইতিবাচক দিকও খুঁজে পাচ্ছেন তিনি।
Sabbir Rahman
শনিবার মিরপুরে সাব্বির রহমান। ছবি: বিসিবি

গত জানুয়ারিতে জাতীয় লিগের ম্যাচে এক কিশোরকে পিটিয়ে ছয় মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন সাব্বির রহমান। এই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি, তবে  আন্তর্জাতিক সিরিজ শেষে বাকি সতীর্থরা যখন বিসিএল ও প্রিমিয়ার লিগে তখন সাব্বিরের ছিল অখণ্ড অবসর। এই সময়টা নাকি বেশ ভালো কেটেছে তার। এমন ‘নির্বাসনের’ ইতিবাচক দিকও খুঁজে পাচ্ছেন তিনি।

নিদহাস কাপের পর জাতীয় দলের বাকিরা প্রিমিয়ার লিগ ও বিসিএল খেলে নিজেদের ঝালাই করে রেখেছেন। সে সুযোগ না পেয়ে সাব্বিরকে মফস্বলে গিয়ে বিভিন্ন অখ্যাত লিগ খেলতেও দেখা গেছে। 

তবে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান জানালেন এই সময়টা বেশ কাজেই লেগেছে তার, ‘বাইরে থাকাটা সবচেয়ে বড় বিষয় না। দুইমাস বাইরে ছিলাম, বিসিএল খেলতে পারিনি, মিস করেছি। প্রিমিয়ার লিগ মিস করেছি। এসময় নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। টেকনিকের কিছু ভুল ছিল, ওইগুলা নিয়ে কাজ করেছি। কিছু সময় বাইরে থাকাটাও ইতিবাচক মনে করি।’

অপ্রত্যাশিতভাবে আসা এই অবসর পরিবারকে সময় দিতেও কাজে লেগেছে। এই বিরতি থেকে চাঙা হয়ে আরও কয়েক বছর ভালো কাটাতে চান তিনি, ‘পরিবারে সময় কাটিয়েছি। আম্মু অসুস্থ ছিল। তাদেরকে সময় দিয়েছি। ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছি। সময়টা ভালো গেছে। আশা করি পরের কয়েকটা বছর ভালো যাবে আমার জন্যে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ, রান পাচ্ছিলেন না আন্তর্জাতিক ম্যাচেও। নিদহাস কাপের ফাইনালে ভারতে বিপক্ষে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ছন্দ ফিরে পান তিনি। আফগানিস্তান সিরিজে সেটাই তার অনুপ্রেরণার অস্ত্র,  ‘অবশ্যই এটা আমার জন্য একটা আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার ছিল। নিদহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটা যেভাবে খেলেছি আগের ম্যাচগুলোতে নিজেকে ওইভাবে প্রয়োগ করতে পারিনি। ফাইনালে যেভাবে চেয়েছি সেভাবে এক্সপোজ করতে পেরেছি । এটা আত্মবিশ্বাস যোগাবে। ’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago