তাসকিন-সোহান-ইমরুলদের না থাকার ব্যাখ্যা

তাসকিন আহমেদ। স্টার ফাইল ছবি

শ্রীলঙ্কায় নিদহাস কাপের দলে ছিলেন তাসকিন আহমেদ, ইমরুল কায়েস ও নুরুল হাসান সোহান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাদ পড়েছেন তিনজনই। এরমধ্যে নিদহাস কাপে দুই ম্যাচ খেলেছিলেন তাসকিন। বাকি দুজন বাদ পড়েছেন না খেলেই। তাদের বাদ পড়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর সব ফরম্যাটে দল থেকে বাদ পড়েন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কায় নিদহাস কাপে ফিরেছিলেন দলে। তবে জায়গা ধরে রাখার মতো কিছু আসেনি তার কাছ থেকে। উলটো বাধিয়েছেন চোট। আফগানিস্তান সিরিজে তার না থাকা তাই কোন চমক হয়েও আসেনি। রোববার দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক তাসকিনের বাদ পড়ার কারণ রাখলেই এই দুটিকেই,

‘ইনজুরি আছে পারফরম্যান্স আছে। ও কিন্তু নিদাহাস ট্রফিতে গিয়েই ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে এই ইনজুরিটা বেশ আগের। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতে থেকে ইনজুরি কাটানোর চেষ্টা করছে তাসকিন। আমার বিশ্বাস হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে উঠবে।’

নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগা ভাবতে পারেন নুরুল হাসান। নিদহাস কাপের দলে থেকেও তার খেলা হয়নি কোন ম্যাচ। সাকিব আল হাসানের বিকল্প হিসেবে দলে ঢুকে লিটন দাস ঝলক দেখিয়ে করে নেন জায়গা। মিনহাজুল জানালেন সোহানকে নিয়ে তাদের ভাবনা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে, ‘আফগানিস্তানে তিনটা টি-টোয়েন্টি খেলা। শর্টার ভার্সনের খেলা। ওকে নিয়ে (সোহান) আমাদের অন্যরকম চিন্তা ভাবনা আছে। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলা। কিন্তু ওখানে গিয়ে টেস্ট প্রস্তুতি নেওয়াটা খুব কঠিন! সামনে লম্বা সফর। যার কারণে। কিছু খেলোয়াড়কে অফ করা হয়েছে।’

টেস্টের বিবেচনায় থাকাই একই কারণে ইমরুল কায়েসকেও দলে নেওয়া হয়নি বলে জানান প্রধান নির্বাচক। সোহানের না থাকার আরেকটা কারণ দলে একাধিক উইকেটকিপার থাকা, ‘একই কারণে ইমরুল কায়েসকে অফ করা হয়েছে। শটার ভার্সনে খেলোয়াড় দেখা কিন্তু খুব কষ্টকর। সামনের ব্যস্ততার কথা চিন্তা করেই সোহানকে ড্রপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দলে দুইজন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান আছে। লিটনের সঙ্গে মুশফিকও আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Iran announces new wave of attacks on Israel: state TV

Israel says conducted 'extensive strikes' in Iran's west, while explosions near Tel Aviv, sirens blare across Israel; smoke rises after explosion in Iran’s Tabriz

59m ago