যে কোন কন্ডিশনেই বাংলাদেশ এগিয়ে: মাহমুদ

সোমবার মিরপুরে জাতীয় দলের স্কিল ট্রেনিং করান খালেদ মাহমুদ। ছবি: বিসিবি

টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। তবে র‍্যাঙ্কিংয়ের ওসব হিসেব নিকেশ নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, কন্ডিশন যাইহোক স্কিলের দিক থেকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশই যেকোনো মাঠে আফগানদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।

আফগানিস্তান সিরিজের জন্যে রোববার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি। সোমবার শুরু হয় স্কিল ট্রেনিং। ব্যাটসম্যান- বোলাররা সংস্করণ বিবেচনায় নিজেদের ঝালাই করেছেন। আফগানিস্তান সিরিজের ভারপ্রাপ্ত কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ছুটি থেকে আসবেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। তার আগে দলকে অনুশীলন করিয়েছেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদই।

টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে আটে থাকা আফগানদের চেয়ে দশে থাকা বাংলাদেশ সব দিক থেকেই এগিয়ে বলে মত মাহমুদের,  ‘আফগানিস্তানকে হারানোর সামর্থ্য আমরা রাখি। যেকোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো দল। আমরা স্কিলফুল দল। আমাদের ব্যাটিং, বোলিং সব ওদের থেকে ভালো।’

সিরিজের আগে আর র‍্যাঙ্কিংয়ের দিকে আর তাকাতে চায় না বাংলাদেশ,  ‘আমাদের জন্য সিরিজ জেতাটা খুব জরুরী। সিরিজ জিতলেই র‍্যাঙ্কিং আগাবে। এখন এইগুলা মাথায় নিয়ে লাভ নেই।’

বর্তমানে টি-টোয়ন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার রশিদ খান। তাকে সমীহ করলেও তাদের বাকি দলটা ভারসাম্যপূর্ণ নয় মাহমুদের কাছে,  ‘হ্যাঁ ওদের বিশ্বসেরা স্পিনার আছে। কিন্তু ওদের পুরো দল ভারসাম্যপূর্ণ নয়। আমরা যদি আমদের ডিসিপ্লিন ঠিক রাখি, বেটার ক্রিকেট খেলি তাহলে আমার মনে হয় যেকোন সময়, যেকোনো দিন আফগানিস্তানকে হারাতে পারি।’

৩, ৫ ও ৭ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে ভারতের দেরাদুনে। এখনো কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হওয়ায় ওই ভেন্যুর উইকেট নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। খালেদ মাহমুদের ধারণা খুব একটা স্পিন বান্ধব হবে না দেরাদুনের উইকেট, ‘আমার মনে হয় না খুব একটা স্পিন বান্ধব উইকেট হবে। আমার মনে হয় উইকেটে বাউন্স থাকতে পারে। আমাদের এখান থেকে যে দেখতে গিয়েছিল (সাব্বির খান) তার কাছ থেকে শুনলাম যে ঘাস আছে অনেক।  সিরিজ শুরুর আগে ৭টার মতো ম্যাচ হবে ওই গ্রাউন্ডে। তখন হয়ত ঘাস কমে যাবে। বাউন্স থাকতে পারে।

উইকেট স্পিন বান্ধব হলে বরং বাংলাদেশের জন্যেই সুবিধা দেখছেন তিনি, ‘স্পিন বান্ধব হলে আমাদের জন্যও ভালো। ওরাও স্পিনে এত ভাল তা না। যেমন উইকেটই হোক আমরা প্রস্তুত।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago