উত্তর কোরিয়ার পথে বিদেশি সাংবাদিকরা

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পুঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বুধ থেকে শুক্রবারের কোনো এক সময়ে ওই অঞ্চলের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য নির্মিত স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতেই উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
বেইজিংয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সিএনএনের টোকিও ব্যুরো প্রতিবেদক উইল রিপ্লে। ছবি: দ্য কোরিয়ান টাইমসের সৌজন্যে

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পুঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বুধ থেকে শুক্রবারের কোনো এক সময়ে ওই অঞ্চলের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য নির্মিত স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতেই উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন সাংবাদিকরা।

তবে, চীন হয়ে উত্তর কোরিয়া যাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বেইজিংয়ে গেলেও, তাদের সেখানেই থেমে যেতে হয়েছে। কারণ তাদের পিয়ংইয়ংগামী বিমানে উঠার অনুমতি দেয়নি উত্তর কোরিয়া। জানা গেছে, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়া ও সিউলে বসবাসরত সাবেক এক উত্তর কোরীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পিয়ংইয়ং বিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতিবাদেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

দ্য কোরিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, চীন এবং পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের অন্তত দুই ডজনের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের জন্য রওনা হয়েছে। এদের মধ্যে এসোসিয়েট প্রেস (এপি), সিএনএন, সিবিএস, রাশিয়া টুডেসহ চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধিকে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

বেইজিংয়ের উত্তর কোরীয় দূতাবাসের বাইরে অপেক্ষমাণ দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিকরা। ছবি: দ্য কোরিয়ান টাইমসের সৌজন্যে

তবে রয়টার্সসহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় তারা উত্তর কোরিয়া সফরের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর আগে, মে’র ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সামনেই পুঙ্গেরির পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রের স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হবে বলে ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। যদিও যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তীতে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলে যে, ‘স্থায়ীভাবে স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে কি না তার যথাযোগ্য প্রমাণসাপেক্ষ প্রতিবেদন প্রয়োজন।’

এর আগে, নিভৃতচারী কমিউনিস্ট দেশটির পারমাণবিক বোমা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের তিক্ত বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পগুলোর ধ্বংস করে দিতে হবে উত্তর কোরিয়াকে।

তবে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে সম্মত হলেও আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি নাও হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া।

Comments