রোমেরোর অভাব ভালোই টের পাবে আর্জেন্টিনা

গত এক দশক ধরে গোল পোস্টে আর্জেন্টিনার নিশ্ছিদ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন সার্জিও রোমেরো। চলতি বিশ্বকাপেও গোলপোস্টে তিনিই ছিলেন দলের মুল ভরসা। কিন্তু হুট করে হাঁটুর ইনজুরি কেড়ে নেয় তার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। আর তাতেই কপালের ভাঁজটা চওড়া হয়েছে আর্জেন্টাইনদের।
Sergio Romero
সার্জিও রোমেরো। ফাইল ছবি: এএফপি

গত এক দশক ধরে গোল পোস্টে আর্জেন্টিনার নিশ্ছিদ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন সার্জিও রোমেরো। চলতি বিশ্বকাপেও গোলপোস্টে তিনিই ছিলেন দলের মুল ভরসা। কিন্তু হুট করে হাঁটুর ইনজুরি কেড়ে নেয় তার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। আর তাতেই কপালের ভাঁজটা চওড়া হয়েছে আর্জেন্টাইনদের। 

আর হবেই না কেন? রোমেরো ছাড়া বাকি যে দুজন গোলরক্ষক আছেন তাদের একজনের তো অভিষেকই হয়নি। সুযোগ পেলে বিশ্বকাপ দিয়েই আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হবে ফ্রাঙ্কো  আরমানিওর। আরেক গোলরক্ষক উইলি কাবায়েরোর অভিজ্ঞতা মাত্র দুই ম্যাচ। আর রোমেরোর বদলে নেওয়া নাহুয়েল গুজম্যান খেলেছেন সর্বোচ্চ ছয়টি ম্যাচ। তবে পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলেও জায়গা পাকা করতে পারেননি।

জাতীয় দলের কথা না হয় বাদ। কিন্তু ক্লাব পর্যায়েও আস্থাভাজন নন বাকি দুই গোলরক্ষক। ম্যানচেস্টার সিটিতে তিন মৌসুম খেলেছেন কাবায়েরো। তাও দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে। গত বছর তাকে বিক্রি করে দিলে চেলসির হয়ে এ মৌসুমে খেলেছেন উইলি। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবেই মৌসুম কাটিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একটি ম্যাচে। সব মিলিয়ে খেলেছেন মাত্র ১৩ ম্যাচে।

একই অবস্থা আরমানিরও। মাঝারি সারির ক্লাব অ্যাটলেটিকো নাসিওনালে সাত মৌসুম খেলার পর এবার যোগ দিয়েছেন দেশের ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে। কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি। একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ হয়নি তার। অর্থাৎ তার উপর আস্থা নেই ক্লাবেরই। আর তাকেই কিনা সামলাতে হবে আর্জেন্টিনার গোল পোস্ট!

ক্লাবে আস্থাভাজন যে রোমেরোও ছিলেন তাও নয়। গত তিন বছর ধরে খেলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। কিন্তু সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৩৮টি ম্যাচে খেলার। চলতি মৌসুমে খেলেছেন মাত্র ১০টি ম্যাচ। তবে জাতীয় দলের ডেরায় তিনিই ছিলেন আস্থাভাজন। ৯৪ ম্যাচে খেলেছেন এ গোলরক্ষক।

রোমেরোকে হারানোর ধাক্কাটা কতটা বিশাল তা বুঝতে পারা যায় দীর্ঘদিনের সতীর্থ হ্যাভিয়ার মাসচেরানোর কথায়, ‘রোমেরোকে হারানো আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, একজন মানুষ হিসেবেও। গত ১০ বছর ধরে সে আমাদের দলের নেতা ছিলো। কিন্তু এটাই ফুটবল। এসব হয়। আমাদের গুজম্যানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

11h ago