সিটি করপোরেশন নির্বাচন

‘সবার জন্যে সমান সুযোগ’- আরও কমে গেল

Election Commission Logo

প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন (আচরণবিধি) রুলস ২০১৮ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার কাজে সাংসদদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিলো।

গতকাল (২৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। খবর ইউএনবি’র।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যমান সিটি করপোরেশন (আচরণবিধি) রুলস ২০১৬ এর ১১টি ধারায় যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল সেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

‘যেহেতু সংসদ সদস্য কোনো লাভজনক পদ নয়, সরকারি অফিস ব্যবহার করেন না, ফলে নির্বাচন কমিশন তাঁদেরকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে,’ যোগ করেন হেলালুদ্দীন।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে রয়েছে- এখন থেকে সাংসদরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। তবে প্রচারণাকালে তাঁরা সার্কিট হাউজ ব্যবহার করতে পারবেন না।

এই প্রস্তাবিত আচরণবিধি ভেটিংয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত করার জন্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আচরণবিধি অনুযায়ী মেয়র পদপ্রার্থীরা প্রতিটি থানার পরিবর্তে এখন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনী ক্যাম্প বসাতে পারবেন।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা ইসির এই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে দেখছেন না। তাঁরা বলছেন, ইসির এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হতে পারে।

নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগের যে কথা বলা হয়, তা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় পুলিশসহ প্রশাসনের উপর এমপিদের কর্তৃত্বের বিষয়টি কারও অজানা নয়।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

5h ago