‘এমন না যে রশিদকে খেলাই যাবে না’
আফগানিস্তান সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আলাদা চিন্তার কারণ রশিদ খান।টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা এই বোলার আছেন দারুণ ছন্দে। আইপিএলে তার ঘূর্ণিতে সমানে কুপোকাত হচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। রশিদের সব রকম সামর্থ্যের কথা জানেন তামিম ইকবালও। তবে এই লেগ স্পিনারকে দুর্বোধ্য ভাবতে চান না তিনি।
আফগানিস্তান সিরিজের জন্য ভারত যাওয়ার আগে শনিবারই ছিল শেষ অনুশীলন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মতো ঝালাই করে নিয়েছেন। ওদিকে আইপিএলে রশিদের সঙ্গে এক দলেই খেলছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের কাছ থেকে রশিদকে খেলা নিয়ে কথাবার্তা হয় তামিমেরও। তবে এতেই সব রহস্যের সমাধান দেখছেন না তামিম, ‘অনেক সময় কথা বলে ধারণা পাওয়া যায়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব বুঝে যাবেন। তাই যদি হতো, তাহলে তো সে এত ভালো পারফর্ম করতে পরত না আইপিএলে।’
তামিমের মতে নির্দিষ্ট দিনে পরিকল্পনা কাজে লাগানোর উপর নির্ভর করছে সব, ‘নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনের ওপর। উইকেটে কতটা পড়া যাচ্ছে ওকে কোন পরিকল্পনায় খেলছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার সব পরিকল্পনা, কৌশলী নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারি। কিন্তু মাঠে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে না পারলে লাভ নেই। ছোট ছোট তথ্য অবশ্যই সাহায্য করে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, সবকিছুই নির্ভর করে ওই দিনের ওপর।’
রশিদকে খুব ভালো চেনেন তামিমও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে তার অধিনায়কত্বেই খেলেছেন আফগান লেগ স্পিনার। নেটে রশিদের বিপক্ষে অনেক সময় ব্যাটও করেছেন। সে অভিজ্ঞতা থেকেই রশিদ বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা আছে তামিমের, ‘ওর কুইক আর্ম অ্যাকশনটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যানদের জন্য। আরেকটি ব্যাপার, ছয় মাস আগে হয়ত ওর অ্যাকুরেসি এত ভালো ছিল না। এখন সেখানেও উন্নতি করেছে, খুব নিখুঁত। আর সাফল্যও পাচ্ছে। বিশ্বের সেরা সব ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করছে। খুব ভালো বোলিং করছে। কিন্তু এমন নয় যে ওকে খেলাই যাবে না। আমরা যদি নিজেদের ভালো ভাবে মেলে ধরতে পারি, কেন নয়!’
রশিদ ছাড়াও আফগানিস্তানের দলে কোয়ালিটি বোলার আছে একাধিক। অফ স্পিনার মুজিবুর রহমান তেমনই একজন। মোহাম্মদ নবীর অভিজ্ঞতাও ফেলনা নয়। তাই কেবল রশিদের দিকেই সব মনোযোগ দিতে চান না তামিম, ‘আমি এমন নই যে একজনের প্রতিই মনোযোগ দেব। কারণ ওদের দলে আরও অনেক ভালো ভালো ক্রিকেটার আছে। অনেক ভালো ভালো বোলার আছে। শুধু একজনের দিকেই মন দেওয়া মানে আগে থেকেই নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাওয়া।’
রশিদকে সেরা মানলেও তামিম মনে করেন সে চ্যালেঞ্জ উৎরে যাওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে, ‘সন্দেহ নেই, এই মুহূর্তে সে হয়ত বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। তবে আমরা এরকম অনেক চ্যালেঞ্জ জিতে অনেক ভালো খেলেছি। এবারও আশা করব যে এমনটিই হবে।’
ভারতের দেরাদুনে ৩,৫ ও ৭ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে দলে নিজের ভূমিকার উপর ব্যক্তিগত লক্ষ্য ঠিক করতে চান বাংলাদেশের সেরা ওপেনার, ‘আমার ব্যক্তিগত চাওয়া নির্ভর করে, দলে আমাকে কোন ভূমিকা দেওয়া হয়, আমাকে যদি অ্যাংকরের ভূমিকা দেওয়া হয়, আমাকে সেটাই করতে হবে। এমনিতে প্রথম ছয় ওভারে শট খেলেতেই হবে। সুযোগ নিতেই হবে। ছয় ওভারের মধ্যে আউট হয়ে গেলে তো হয়েই গেলাম। ওপেনারদের এই ঝুঁকি নিতেই হবে। কিন্তু যদি সেটা পার করে দিতে পারি, তাহলে আমার লক্ষ্য থাকবে লম্বা ইনিংস খেলা। ’
Comments