যে পাঁচ কারণে এবারও বিশ্বকাপ জিততে পারে জার্মানি

দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরও একটি বিশ্বকাপ। কে জিতবে এবারের বিশ্বকাপ? এ নিয়ে ঘুম নেই ফুটবল ভক্তদের। বেশ কিছু দেশই শক্তিশালী দল নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ায়। তাদের মধ্যে অন্যতম জার্মানি। গত আসরের চ্যাম্পিয়নও তারা। সামগ্রিক বিচারে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবীদার এ দলটি। আর কেন তারা এবারও শিরোপা জিততে পারে তার প্রধান পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো।
germany.jpg
২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ছবি : এএফপি

দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরও একটি বিশ্বকাপ। কে জিতবে এবারের বিশ্বকাপ? হিসাব মেলাতে ব্যস্ত ফুটবল ভক্তরা। বেশ কিছু দেশই শক্তিশালী দল নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ায়। তাদের মধ্যে অন্যতম জার্মানি। গত আসরের চ্যাম্পিয়নও তারা। সামগ্রিক বিচারে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার এ দলটি। আর কেন তারা এবারও শিরোপা জিততে পারে তার প্রধান পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো।

অভিজ্ঞতা

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, যে কোন খেলাতেই অভিজ্ঞতার মূল্য অপরিসীম। বড় বড় ম্যাচে স্নায়ু চাপ ধরে রাখার জন্য অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। এবারের বিশ্বকাপে ৯ জন তারকা খেলোয়াড় জার্মান দলে আছেন যারা খেলেছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপও। একই কথা বলতে পারবে না ব্রাজিল, ফ্রান্স বা স্পেনের মতো শক্তিধর দলগুলো। বিশেষ করে দলটির কোচ জোয়াকিম লো দীর্ঘদিন এ দলটির সঙ্গে কাজ করায় ভালো করেই জানেন জিততে হলে কি করতে হবে।

শক্তির গভীরতা

বলা হয়ে থাকে একটা দল কতটা শক্তিশালী তা দেখা হয় তাদের রিজার্ভ বেঞ্চ দেখে। আর এই জায়গায় দারুণ এগিয়ে জার্মানি। প্রায় প্রতিটি পজিশনেই রয়েছে একাধিক তারকা খেলোয়াড়। আর পেশাদারিত্বে কোন আপোষই করে না জার্মানরা। গত আসরের ফাইনাল জয়ের নায়ক মারিও গোটজে নেই ২৭ জনের তালিকাতেও। নেই আন্দ্রে শুরলে, বেনেদিক্ত হাওদিস, ইমরি কানের মতো খেলোয়াড়রাও। মেধাবী ও পারফর্মারদের নিয়েই দল গড়েছেন লো। জশুয়া কিমিচের মতো বেশ কিছু তরুণ ক্ষুধার্ত খেলোয়াড় দলে নিয়েছেন তিনি। আছেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান, তিমো ওয়ার্নার ও লরে সানের মতো পারফর্মারদের। যারা একাই ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে সিদ্ধহস্ত। আর লো তার সাফল্যের সবটুকুই পেয়েছেন এমন সব তরুণ খেলোয়াড়দের দলে নিয়ে।

স্বতন্ত্র মেধা

একাই ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার দিয়াগো ম্যারাডোনা। এমন কোন খেলোয়াড় নেই জার্মান দলে। নেই ২০০২ সালের ব্রাজিলের রোনাল্ডোর মতো খেলোয়াড়ও। কিন্তু আছেন এক ঝাঁক স্বতন্ত্র মেধাবী খেলোয়াড় যারা দলগত ভাবে ভীষণ শক্তিশালী। ম্যানুয়েল নয়ার বর্তমান বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক, জেরোমে বোয়েটাংয়ের মতো ডিফেন্ডার আছেন, যারা গত বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। আছেন রিয়াল মাদ্রিদের টনি ক্রুস, বর্তমান বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারই বলা হয় তাকে। আর অবশেষে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে মার্কো রিউসকে পাচ্ছে তারা। সামি খেদেরা, মেসুত ওজিলরা তো পরীক্ষিত সৈনিকই।

ইতিহাস, পেনাল্টি কিকের রাজা

জার্মানদের সঙ্গে রয়েছে দারুণ সব অতীত ইতিহাস। ব্রাজিলের পর বিশ্বকাপের আসরে সবচেয়ে বেশি সফল তারাই। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, চারবার রানার্স আপও। তিনবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছে দলটি। আর দারুণ এসব রেকর্ডগুলো মাঠে খেলোয়াড়দের চাপকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। বিশেষকরে পেনাল্টি কিকে গেলে তো তারাই যেন রাজা। ১৯৭৬ সালের পর মেজর কোন টুর্নামেন্ট টাইব্রেকারে হারেনি তারা। অপরদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ১৯৯০ সালের পর টাই ব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে ছয় বার।

থমাস মুলার : বিশ্বকাপের বিস্ময়

জার্মানদের বিশ্বাস প্রতি আসরে তাদের একজন বিস্ময় খেলোয়াড় থাকে যার কিনা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য থাকে। গত দুই আসর ধরে এটা তাদের হয়ে করে আসছেন থমাস মুলার। বিশ্বকাপ এলেই যেন বদলে যান এ স্ট্রাইকার। দারুণ সব গোল তো করেনই, আবার গোলও করান। ক্যারিয়ারের ৯০ ম্যাচে গোল করেছেন ৩৮টি। যার ১০টিই বিশ্বকাপে। গত দুই আসরে পাঁচটি করে গোল দিয়েছেন। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা স্বদেশী মিরাস্লাভ ক্লোসাকে স্পর্শ করতে আর গোল দরকার ছয়টি। জানিয়ে রাখা ভালো তার বয়স মাত্র ২৮।  

Comments