‘আমি যেন ধ্বংস হয়ে গেলাম’

আশি বছর বয়সে মাথায় ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন অস্কার বিজয়ী অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান।
Morgan Freeman
অস্কার বিজয়ী অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান। ছবি: রয়টার্স

আশি বছর বয়সে মাথার ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন অস্কার বিজয়ী অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ উঠলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এই ‘ইনভিকসাস’ অভিনেতা। বলেন, “কখনোই কোন নারীর সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করিনি।” এমনকি, “নারীদের জন্যে অস্বস্তিকর কাজের পরিবেশ” সৃষ্টি করেননি বলেও জোর দাবি তুলেছেন তিনি।

গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন নারীর অভিযোগের তীর ছুটে আসে মর্গান ফ্রিম্যানের দিকে। প্রত্যুত্তরে পরের দিন এক বার্তায় এই বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, “আমি যেন ধ্বংস হয়ে গেলাম। চোখের পলকে আশি বছরের এই জীবনকে ধ্বংস করে দেওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে হলো।”

এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির প্রতিবেদন জানায়, ফ্রিম্যান বার্তাটিতে বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে যে যাই বলুন না কেনও তা আমি শুনতে চাই। তবে কোন ধরনের রসিকতাকে যৌন হেনস্তার সঙ্গে তুলনা করা কোনও মতেই ঠিক হবে না।”

‘দ্য শশাঙ্ক রিডাম্পশন’-খ্যাত অভিনেতার মন্তব্য, “আমি অনেক সময় নারী সহকর্মীদের সঙ্গে হাস্য-কৌতুক করে সময় কাটিয়েছি। হাল্কা কথা বলে নিজে হেসেছি, অন্যদের কেউ হাসানোর চেষ্টা করেছি। কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটি করিনি।”

সেসব ঘটনার জন্যে ক্ষমাও চান ‘গ্লোরি’-র অভিনেতা। বলেন, “আমার আচরণে কেউ বিব্রত হলে আমি সেজন্যে ক্ষমা চাচ্ছি। এবং এই ক্ষমা আমি চিরদিন চেয়েই যাব। একই সঙ্গে আমি একথাও পরিষ্কার করে বলতে চাই যে আমি কখনোই খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলিনি, কাজের পরিবেশ নষ্ট করিনি। অথবা কাজের সুযোগ দিয়ে কোন অনৈতিক সুবিধাও নিতে যাইনি।”

বার্তায় ফ্রিম্যান আজ যাই বলুন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠায় তিনিও যেন দাঁড়িয়ে গেলেন হার্ভি ওয়েইন্সটিন, রোমান পোলানস্কি, জেমস ফ্রাঙ্কো, উডি অ্যালানসহ হলিউডের কথিত নিপীড়নকারীদের কাতারে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

8h ago