ট্রাম্প-উনের বৈঠকের সামনে তিন প্রশ্ন

কোরিয়া উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গত কয়েক মাসের বাগযুদ্ধের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১২ জুনের এই বৈঠক সামনে রেখে দুই নেতাই এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকর্তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কথা চালাচালি করেছেন। এর পরও বৈঠক থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে এই দুই নেতার হঠকারী মনোভাব সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন তিনটি বাধার কারণে ট্রাম্প-উনের বৈঠকে জটিলতা তৈরি হতে পারে। প্রথম প্রশ্ন উঠবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সংজ্ঞা নিয়ে। এর পর উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি জটিলতা সৃষ্টি করবে।
বৈঠক থেকে ওয়াশিংটন ও উত্তর কোরিয়া কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও আগামীকাল যে যৌথ ঘোষণা আসবে তাতেই সাফল্য খুঁজতে চাইছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগোর স্কুল অব গ্লোবাল পলিসি এন্ড স্ট্র্যাটেজির পরিচালক স্টিফেন হ্যাগার্ড কোরিয়ান টাইমসকে বলেন, দুপক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যাশাগুলো যৌথ ঘোষণায় আসছে কিনা সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে শুধু সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সমাপ্তি টানা হলে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা কঠিন হবে।
তিনি মনে করেন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ একটি প্রক্রিয়া, এটি কোনো পরিণাম নয়। যৌথ ঘোষণায় শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আদ্যোপান্ত উল্লেখ থাকা উচিৎ।
কোরিয়া একত্রীকরণ বিশেষজ্ঞ ট্রয় স্ট্যাঙ্গারন মনে করেন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্কে উপনীত হতে পারলেই আসন্ন বৈঠকটিকে সফল বলা যাবে। আর বৈঠকের চূড়ান্ত সাফল্য নির্ধারিত হবে যৌথ ঘোষণার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন হলে।
কোরিয়ান ইকোনোমিক ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ পরিচালক স্ট্যাঙ্গারন বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সংজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে মতভেদ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সঙ্গে অবরোধ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সূত্র: কোরিয়ান টাইমস
Comments