২৮০ কেজি সোনা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে কলকাতায়

চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে কমপক্ষে ২৮০ কেজি স্বর্ণ পাচার হয়ে কলকাতার বড় বাজার এলাকায় এসেছে।
gold bars
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে কমপক্ষে ২৮০ কেজি স্বর্ণ পাচার হয়ে কলকাতার বড় বাজার এলাকায় এসেছে।

সম্প্রতি, কলকাতার বড়বাজারের ‘সোনাপট্টি’ এলাকার ৭২ নম্বর মনোহর দাস স্ট্রিটের একটি চারতলা বাড়ি থেকে ৬ কেজি স্বর্ণ এবং নগদ ৪ কোটি রুপি উদ্ধার করেছে কলকাতার গোয়েন্দারা। সেই ঘটনার পর এমন বাংলাদেশি সোনা পাচারের ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হন কলকাতার শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দা দল।

জানা গিয়েছে, গত ৪ জুনের বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপি উদ্ধার করার কয়েক ঘণ্টা পর কলকাতার লাগোয়া হাওড়ায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ২ কেজি সোনার বার উদ্ধার করে গোয়েন্দা দল। দুটি ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তাদের জেরার পর শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দারা বিস্ফোরক এই তথ্য আবিষ্কার করেন।

কলকাতার শুল্ক বিভাগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই বিপুল পরিমাণ সোনা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ থেকে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয়ে আসার কারণ খুঁজতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে ১ কেজি সোনার দাম ২৭ লক্ষ টাকা। বিপরীতে ভারতের বাজারে সেই ১ কেজি সোনার বিক্রয় মূল্য ৩০ লক্ষ রুপি।

টাকা থেকে রুপির বিনিময় মূল্য যেহেতু বেশি। আবার অংকের হিসাবেও প্রায় ৩ লক্ষ রুপি কেজি প্রতি লাভ মিলছে সিন্ডিকেট চোরাকারবারীদের। আর এর জন্য গত এপ্রিল থেকে বড় একটি চক্র স্বর্ণ চোরাচালানের যুক্ত হয়ে পড়ে। যার সঙ্গে বড়বাজারের বড় বড় সোনার দোকানিদেরও যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

কলকাতার শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার বারগুলো নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনার এবং মালদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে।

এই বিষয়ে কলকাতার কাস্টমস কমিশনার পার্থ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ থেকে থেকে একটি সংঘবদ্ধ দল এই কারবার চালাচ্ছে। এর সঙ্গে কলকাতার বড়বাজারের কয়েকটি সোনার দোকান জড়িত রয়েছে। একইভাবে তাদের হাত ঘুরে স্বর্ণ চলে যাচ্ছে মুম্বাই, বেনারস, চেন্নাইসহ উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু শহরে। সেখানেও এই চোরাকারবারীদের সিন্ডিকেট রয়েছে।

Comments