সাংবাদিক বুখারি হত্যায় দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার সংস্থার নিন্দা

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ সুজাত বুখারির নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)।
Syed Shujaat Bukhari
১৪ জুন ২০১৮, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের শ্রীনগরে বন্দুকধারীরা ইংরেজি দৈনিক ‘রাইজিং কাশ্মির’-এর সম্পাদক সৈয়দ সুজাত বুখারিকে তার অফিসের বাইরে হত্যা করে। ছবি: রয়টার্স/দানিশ ইসমাইল

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ সুজাত বুখারির নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)।

গতকাল (১৫ জুন) সংস্থাটির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত এক বার্তায় বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে কাশ্মিরের একটি বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়া হলো।

জম্মু-কাশ্মিরসহ এই উপমহাদেশে যখন বিভেদ-সংঘাতের ঘটনা বেড়েই চলছে তখন শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষের একজন নির্ভীক মানুষকে হারানোর জন্যে দুঃখ প্রকাশ করা হয় সেই বার্তায়।

বুখারির হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের দাবিও জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, ভারত, পাকিস্তান এবং কাশ্মিরের জঙ্গিদের অবশ্যই সংঘাত বন্ধ করে একটি প্রকৃত শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এর মাধ্যমে আরও অনেক জীবন বাঁচানো যাবে এবং বুখারির মতো শান্তির পক্ষের একজন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন সন্ধ্যায় শ্রীনগরের ব্যস্ত লালচক এলাকায় তিন থেকে চারজন বন্দুকধারী ইংরেজি দৈনিক ‘রাইজিং কাশ্মির’-এর সম্পাদক ৫১ বছর বয়সী সৈয়দ সুজাত বুখারিকে তার অফিসের বাইরে হত্যা করে।

বুখারি তার গাড়িতে উঠার সময় মোটরসাইকেল আরোহী বন্দুকধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় তার একজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হন।

‘রাইজিং কাশ্মির’ ছাড়াও বুখারি উর্দু দৈনিক ‘বুলন্দ কাশ্মির’, উর্দু সাপ্তাহিক ‘কাশ্মির পারচাম’ এবং কাশ্মিরি ভাষার ‘সানগারমাল’-এর সম্পাদনা করতেন। ‘রাইজিং কাশ্মির’-এর সম্পাদক হওয়ার আগে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর প্রভাবশালী ভারতীয় পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’-র জম্মু-কাশ্মিরের ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago