মেসির পেনাল্টি ঠেকানোর রহস্য জানালেন আইসল্যান্ড গোলকিপার
নায়ক হওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত ছিল লিওনেল মেসির জন্য। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এনে দিতে পারতেন জয়, আর্জেন্টিনাও বিশ্বকাপ শুরু করতে পারতো ইতিবাচকভাবে। তবে মেসি নন, মেসির জন্য সাজানো মঞ্চে নায়ক হয়ে গেলেন আরেকজন। বলা হচ্ছে আইসল্যান্ডের গোলকিপার হ্যানেস হ্যালডরসনের কথা।
একসময় পেট চালানোর দায়ে ভৌতিক সিনেমা বানাতেন। কালের বিবর্তনে সেই সিনেমা নির্মাতা হ্যালডরসনই এখন পুরো আইসল্যান্ডের চোখের মণি! লিওনেল মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে আইসল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন মহামূল্যবান এক পয়েন্ট। কিন্তু এর পেছনের রহস্য কী? এর আগে কখনো মেসির মুখোমুখি হননি তিনি। তাহলে কীভাবে ঠেকালেন মেসির পেনাল্টি?
হ্যালডরসন বলছেন, পর্যাপ্ত ‘হোম ওয়ার্ক’ এর ফসল এই পেনাল্টি ঠেকানো। ডেনিশ লীগে খেলা ৩৪ বছর বয়সী এই গোলকিপার ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভিডিও বিশ্লেষণ করে করে মেসির জন্য প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন তিনি, ‘আমি মেসির অনেকগুলো পেনাল্টির ভিডিও দেখেছি। শেষ কয়েকটা পেনাল্টিতে আমি কোন দিকে ঝাঁপিয়েছি সেটাও দেখেছি। আমি তাই তাদের মাইন্ডসেট পড়ার চেষ্টা করেছি। তারা আমাকে নিয়ে কীভাবে ভাবতে পারে, সেটা বোঝার চেষ্টা করেছি।’
ডান দিকে ঝাঁপিয়ে মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন তিনি। কেন ডান দিকেই ঝাঁপালেন? হ্যালডরসনের সহজ সরল উত্তর, ‘আমার মনে হচ্ছিল, মেসি আমার ডান দিকেই মারবে।’
তবে পেনাল্টির আগে যে ভালোই চাপ অনুভব করছিলেন, সে কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি, ‘ছোট্ট একটি দেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের পেনাল্টির সামনে পড়া, ব্যাপারটা মোটেও সহজ ছিল না। আমার জন্য অনেক বড় মুহূর্ত ছিল এটি।’ ‘পেনাল্টি ঠেকানোর ব্যাপারটা অনেকটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। বিশেষ করে যখন এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’ হ্যালডরসনের এই এক পয়েন্ট এনে দেয়াতেই এখন পরের পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে আইসল্যান্ড।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বড় তারকার পেনাল্টি ফিরিয়ে দেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে হ্যালডরসনের। ইউরো ২০১৬ তে আরেক বিশ্বসেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ওই ম্যাচেও পর্তুগালকে রুখে দিয়েছিল আইসল্যান্ড।
Comments