বদলি হিসেবে খেলতে অস্বীকৃতি : দেশে ফেরত পাঠানো হলো ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকারকে

বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়াটাই যেখানে অনেক ফুটবলারের পরম আরাধ্য স্বপ্ন, সেখানে হাতের লক্ষ্মী স্বেচ্ছায় পায়ে ঠেললেন ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচ। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় ২৩ জনের স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে কালিনিচকে। সাথে সাথে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকার

বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়াটাই যেখানে অনেক ফুটবলারের পরম আরাধ্য স্বপ্ন, সেখানে হাতের লক্ষ্মী স্বেচ্ছায় পায়ে ঠেললেন ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচ। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় ২৩ জনের স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে কালিনিচকে। সাথে সাথে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

ম্যাচের ৮৫ মিনিটে কালিনিচকে বদলি হিসেবে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রোয়াট কোচ ডালিচ। কিন্তু পিঠে ব্যথার অজুহাত দিয়ে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান কালিনিচ। এতেই ক্ষিপ্ত হন ডালিচ। এর আগেও এরকম অজুহাত বেশ কয়েকবার দেখিয়েছেন, এই কারণ দেখিয়ে কালিনিচকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ঘটনার বিস্তারিত জানানোর জন্য ডাকা বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ডালিচ বলেছেন, ‘নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার কথা ছিল কালিনিচের। সেজন্য ওকে গা গরম করতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এসেই সে জানায়, পিঠে ব্যাথার কারণে খেলতে পারবে না সে।’

‘এরকম ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও একই কাজ করেছে সে। এমনকি রোববার অনুশীলন সেশনেও সে এই কাজ করেছে।’

‘আমি কোন প্রতিক্রিয়া দেখাইনি, শান্তভাবে মেনে নিয়েছি। যেহেতু আমার ফিট এবং যেকোনো সময় খেলতে প্রস্তুত এমন খেলোয়াড় দরকার, তাই আমাকে একটি সিদ্ধান্তে আসতেই হতো।’

গত মৌসুমে ফিওরেন্টিনা থেকে এসি মিলানে যোগ দেয়া কালিনিচ এমনিতেও ফর্ম হারিয়ে ফেলেছিলেন। গত মৌসুমে সিরি আ তে ৩১ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন মাত্র ৬ টি।

কালিনিচের বিকল্প হিসেবে আর কোন খেলোয়াড়কে না ডাকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ফলে ২২ জনের স্কোয়াড নিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেবে দলটি। এতে করে মারিও মানজুকিচ ও আন্দ্রে ক্রামারিচের বিকল্প হিসেবে খেলতে পারে এমন একজন স্ট্রাইকার কমে গেলো ক্রোয়েশিয়ার।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago