ফাইনালে ব্রাজিলকে চাইছেন কস্তা

তিনি খেলছেন স্পেনের হয়ে, কিন্তু তাঁর জন্মস্থান ব্রাজিল। স্পেন জাতীয় দলে আসার আগে ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সিও গায়ে চড়িয়েছেন। ডিয়েগো কস্তা তাই ব্রাজিলকে এখনও পুরোপুরি ভুলতে পারেননি। আর সে কারণেই কি না, বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইছেন জন্মভূমি ব্রাজিলকে!
ডিয়েগো কস্তা

তিনি খেলছেন স্পেনের হয়ে, কিন্তু তাঁর জন্মস্থান ব্রাজিল। স্পেন জাতীয় দলে আসার আগে ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সিও গায়ে চড়িয়েছেন। ডিয়েগো কস্তা তাই ব্রাজিলকে এখনও পুরোপুরি ভুলতে পারেননি। আর সে কারণেই কি না, বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইছেন জন্মভূমি ব্রাজিলকে!

স্প্যানিশ এক রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এই বাসনার কথা জানিয়েছেন পর্তুগালের বিপক্ষে জোড়া গোল করা কস্তা, ‘ব্রাজিলকে খেলতে দেখতে পছন্দ করি আমি, কারণ ওই দলে  আমার অনেক বন্ধু আছে। উইলিয়ান, ফিলিপে লুইস, মিরান্ডারা আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি তাই চাইনা ওদের বিশ্বকাপটা খারাপ কাটুক।’

‘আমার জন্মস্থান ব্রাজিলের লাগার্তোতে, সেখানে আমার বন্ধুরা ও পরিবারও ব্রাজিলকে সমর্থন করছে। ব্রাজিল বনাম স্পেন ফাইনাল হবে দারুণ ব্যাপার। আমি এমন একটা দুর্দান্ত ফাইনাল খেলতে ও জিততে চাই।’

কস্তার ইচ্ছা যদি পূরণ হয়েই যায়, তাহলে ফাইনালে মুখোমুখি হতে হবে তাঁরই সাবেক দল ব্রাজিলের। সেক্ষেত্রে ব্রাজিল সমর্থকেরা তাঁর সাথে বিরুপ আচরণ করবেন, এমন একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। কস্তা অবশ্য বিশ্বাস করেন, ব্রাজিল সমর্থকেরা তাঁর সাথে এমন কিছুই করবেন না, ‘ব্রাজিলের লোকজন অনেক প্যাশন নিয়ে ফুটবল দেখে। আমার দলবদলের ঘটনা এখন পুরোনো হয়ে গেছে, মানুষ এটার সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এখন। এছাড়া ব্রাজিলিয়ানরা মানুষ হিসেবেও খুব ভালো।’

স্পেনে এসে শুরুতে মানিয়ে নিতে বেশ ভালো লড়াই করতে হয়েছে কস্তাকে। প্রথম দশ ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন মাত্র একটি। ২০১৪ বিশ্বকাপে গোলের দেখাই পাননি। বাজে ফর্মের কারণে ২০১৬ ইউরো স্কোয়াড থেকেও তাঁকে বাদ দিয়েছিলেন ভিসেন্তে দেল বস্ক। কিন্তু হুলেন লোপেতিগের অধীনে আবার দলে ফেরেন তিনি, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে করেন ৫ গোল। পর্তুগালের বিপক্ষেও ইয়াগো আসপাস, রড্রিগো, লুকাস ভাজকেজদের রেখে তাঁকে প্রথম একাদশে রেখেছিল স্পেন। জোড়া গোল করে আস্থার প্রতিদান দিতে পেরে খুশি কস্তা, ‘প্রথম ম্যাচেই গোল করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জোড়া গোল করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। কিন্তু আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে, আমাকেও প্রতিনিয়ত নিজের খেলায় উন্নতি আনতে হবে।’

তবে প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করলেও দলে যে তাঁর জায়গা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত নয়, সেটাও ভালোই জানেন এই স্ট্রাইকার, ‘দলে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা আছে, আর এটা আমাদের জন্যই ভালো। আমরা এখানে সবাই একটা পরিবারের সদস্য। সবার সাথেই আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আমার জায়গায় যদি অন্য কেউও খেলে, তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দেব আমি। সাথে শুভেচ্ছাও জানাবো, কারণ একাদশে থাকাটা তাঁর প্রাপ্য বলেই সে একাদশে আছে। কে খেলবে আর কে খেলবে না সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার সম্পূর্ণ কোচের। কোন খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের ঊর্ধ্বে নয়।’

বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২ টায় ইরানের মুখোমুখি হচ্ছে স্পেন। এই ম্যাচেও গোল করে দলকে জয় এনে দিতে মুখিয়ে থাকবেন কস্তা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Amin Uddin Mollah is dead and buried for two years and 10 months.

4h ago