গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসি-রোনালদোকে চ্যালেঞ্জ কেইনের!
এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের আশা ভরসার প্রতীক মানা হচ্ছে তাঁকে। হ্যারি কেইন নিজেও প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। এতটাই যে, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে চ্যালেঞ্জই জানিয়ে বসলেন!
তিউনিশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে টুর্নামেন্টের শুরুটা মনমতোই হয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের। অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে আটবার জালে বল পাঠিয়েছেন। বর্তমান কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১০ গোল। নিজের গোল স্কোরিং দক্ষতা নিয়ে তাই বেশ আত্মবিশ্বাসী কেইন। আর সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে নিজেকে মেসি ও রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন তিনি।
দারুণ ফর্মে থাকা টটেনহাম স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই মানুষকে ভুল প্রমাণ করতে হয়েছে আমাকে। নিজের কাছে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে ভালোবাসি আমি। রোনালদো ও মেসি দুজনেই বিশ্বসেরা। আমার চ্যালেঞ্জ হলো ওদের সমপর্যায়ে আসা। বিশ্বসেরা ফুটবলার হতে হলে আপনাকে সবসময় বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এই পর্যায়ে আসতে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগেই বলেছি বিশ্বকাপে খেলতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত, এবার আমি নিজেকে প্রমাণ করে দেখাতে চাই।’
গত ইউরোতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণের তাগিদটা আরও বেশি কেইনের, ‘আমি কোন বড় টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। বিশ্বসেরাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে চাই। আর এটা তখনই সম্ভব যখন আমি বড় টুর্নামেন্টে ও বড় মঞ্চে পারফর্ম করে দেখাতে পারব। নিজের প্রতিভা দেখানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছি আমি।’
তিউনিশিয়ার বিপক্ষে দুই গোল করে ম্যাচ জেতানোর পর ক্লাব কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর কাছ থেকে অভিনন্দন পেয়েছেন বলেও জানালেন কেইন, ‘ম্যাচের পর তিনি আমাকে টেক্সট পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি কেবল আমার বসই নয়, আমার সতীর্থের মতো। ম্যানেজার হলেও তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি ও আমার দল যেন ভালো করি, সেটা তিনি মনেপ্রাণে চান।’
এখনও পর্যন্ত তিন গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও রাশিয়ার ডেনিস চেরিশেভ। আর দুই গোল নিয়ে ঠিক তাঁদের পড়েই আছেন কেইন, লুকাকু ও ডিয়েগো কস্তা।
Comments