অবসরে যেতে পারেন ওজিল!
মেক্সিকোর কাছে হারের পর যতজনের বেশি সমালোচনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মেসুত ওজিল। আর্সেনাল মিডফিল্ডারের খেলা মন ভরাতে পারেনি বেশিরভাগ সমর্থকেরই। আর মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে ওজিলের খেলা দেখার পর সাবেক জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলার লোথার ম্যাথাউসের মনে হয়েছে, বিশ্বকাপের পরই অবসরে যেতে পারেন ওজিল!
জার্মান পত্রিকা ‘বিল্ড’ এ নিজের লেখা কলামে ম্যাথাউস লিখেছেন, ‘আমার প্রায়ই মনে হয় জার্মান জার্সিতে ওজিল ঠিক স্বস্তিবোধ করে না। মনে হয় যে ও মুক্তভাবে খেলতে পারছে না। মাঝে মাঝে তো এমনও মনে হয়, ও আসলে খেলতেই চাইছে না! জার্মান জার্সিতে ওর খেলা দেখে মনে হয়, খেলায় কোন আনন্দ নেই, প্যাশন নেই, ভালোবাসা নেই।’
‘ঠিক এ কারণেই বিশ্বকাপের পর ওজিল জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেললেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বছর দুয়েক ধরেই ওজিল আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।’
আরেক সাবেক জার্মান ফুটবলার স্টেফান এফানবার্গ তো লো’কে পরামর্শ দিয়েছেন ওজিলকে একাদশ থেকেই বাদ দিতে! সুইডেনের বিপক্ষে ওজিলকে বেঞ্চে রাখা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। ওজিলের বদলে মার্কো রয়েসকে একাদশে রাখার পক্ষে তিনি, ‘লো’র উচিত ওজিলকে বেঞ্চে বসানো আর রয়েসকে শুরুর একাদশে রাখা। মেক্সিকোর বিপক্ষে রয়েস কেন শুরু থেকে খেলেনি তা আমার বোধগম্য হয়নি। মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটাই গ্রুপে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ ছিল।’
দলে আরেকটি পরিবর্তন আনার কথাও বলেছেন এফানবার্গ। দলের খেলায় আরও সৃষ্টিশীলতা আনার জন্য স্যামি খেদিরার বদলে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্ডোগানকে একাদশে চাইছেন তিনি, ‘মেক্সিকোর কাছে হারার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল, ক্রুসকে ওরা ম্যান মার্কিং করে খেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। নিজের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেনি ও। এক্ষেত্রে খেদিরা ক্রুসকে সাহায্য করতে পারতো, দায়িত্ব নিয়ে খেলায় আরও গতি আনতে পারত। কিন্তু সে তা করেনি। খেদিরার জায়গায় গুন্ডোগানের খেলা উচিত। সেন্ট্রাল মিডফিল্ড থেকে স্ট্রাইকারদের উদ্দেশ্যে বিধ্বংসী পাসের দরকার আমাদের, আর গুন্ডোগান সেরকম পাস দিতে সক্ষম। মেক্সিকোর বিপক্ষে এই পাসগুলো পাইনি আমরা।’
Comments