পরিস্থিতি আগে পর্যবেক্ষণ করতে চান রোডস

ঈদের কয়েকদিন আগে প্রধান কোচ হিসেবে স্টিভ রোডসকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। ঈদের ছুটি কাটিয়ে মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার একদিন পর সংবাদ মাধ্যমে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন, তাতে তড়িঘড়ি করে কিছু না করে হাবভাব বুঝে নেওয়ার আভাস তার কণ্ঠে।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কনফারেন্সে হলে ব্রিটিশ এই কোচের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিসিবি।
বাংলাদেশের নতুন কোচ শিষ্যদের সম্পর্কে এখনো আছেন ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে। আপাতত তার সময় কাটছে সবকিছু চেনা, জানার উপরই, ‘এখন সবই নতুন। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। এখানে আসার আগে নেট ঘেঁটে জানার চেষ্টা করেছি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে বোঝতে চেষ্টা করেছি কে কেমন খেলে। ক্যারিবিয়ানে যাওয়ার আগে খুব বেশি সময় পাব না সত্যি কথা বলতে গেলে। এরমধ্যে সেরাটা দিয়ে উন্নতির চেষ্টা করতে হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়েছে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগেই। আপাতত সেদিকে নজরও নেই তার। এই সফরটা রোডস দেখছেন পরিস্থিতি বোঝার মঞ্চ হিসেবে, ‘আগে শক্তভাবে পা রাখতে চাই। পর্যবেক্ষণ করতে চাই, খেলোয়াড়দের দেখতে চাই। আমার কিছু চিন্তা ভাবনা আছে কাউকে কাউকে বলেছি। কিন্তু এখনি সব ধারণা জোর করে প্রয়োগের ইচ্ছা নেই। পরিস্থিতিটা দেখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি যদি দল হয়ে খেলাতে পারি তাহলে স্টাই শক্তির দিক হবে।’
কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দিনই বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট প্রীতি নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন। আরও একবার সে কথা মনে করিয়ে এদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে মিশে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন এই কোচ, ‘বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল। ক্রিকেট তাদের ধ্যান-জ্ঞান। এখানে আসার পথে দেখলাম ছেলে-পেলেরা কয়েক জায়গায় ক্রিকেট খেলছে। গাড়ি থেকে নেমে আমারও খেলতে ইচ্ছা হচ্ছিল। এরকম ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ জাতির কোচ হতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগছে।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে। স্টিভ রোডসের শুরুটাও হচ্ছে আরও একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে। সেখানকার কন্ডিশন বংলাদেশের থেকে কিছুটা ভিন্ন হলেও টিম ওয়ার্ক দিয়ে সব পুষিয়ে দেওয়ার আশা তার , ‘জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন সহজ ও অনুকূল নয়। লংকানদের উড়িয়ে ক্যারিবীয়রা আছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। তাদের সাথে সিরিজ মোটেও সহজ হবে না। সেটা আর সবার মতো আমারও জানা। তারপরও আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামবো। জেতাটাই লক্ষ্য। ওই যে বললাম টিমওয়ার্ক! সবাই মিলে ভালো পারফর্ম করলে জিততেও পারি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হুমকির কারণ হতে পারেন পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। এই পেসারকে খুব ভালো চেনা জানা আছে রোডসের, ‘আমি ঘরে বসে খুব কাছ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) সিরিজটি দেখেছি। তাদের যে ফাস্ট বোলার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল খুব ভালো করল তাকে আমি উস্টারশায়ারে কোচিং করিয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই অভিজ্ঞতা আমি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সাথে শেয়ার করবো।’
Comments