ইরানের ‘প্রাচীর’ ভেঙে জিতল স্পেন

চীনের প্রাচীর দেখতে হলে যেতে হবে চীনে। আর ইরানের প্রাচীর দেখতে হলে দেখতে হবে তাদের ফুটবল ম্যাচ। ‘গোল দিলে দিব, কিন্তু খাওয়া যাবে না’, এমন পণ করে নামা ইরানিয়ানদের রক্ষণ শেষ পর্যন্ত ভেদ করে কোনমতে উদ্ধার হয়েছে স্পেন।
বুধবার কাজানে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ডিয়াগো কস্তার দেওয়া গোলে ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্পেন।
বিচিত্র কৌশলের কারণে বড় দলগুলোর জন্য ইরানকে হারানোই যেন দুরূহ কাজ। গেল বিশ্বকাপে এমন এক পরিস্থিতিতে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার ভুগেছে স্পেন। পুরো ম্যাচে কোচ কার্লোস কুইরোজের শিষ্যদের যেন একটাই মন্ত্র ছিল, ‘ঠেকাও আক্রমণ’। ডি বক্সের আশেপাশে পাকাপোক্ত দেয়াল বানিয়ে শুরু থেকেই খেলেছে তারা। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় স্পেনকে গোল বঞ্চিত করে বাড়ায় হতাশাও। শেষ পর্যন্ত ৫৪ মিনিটে গিয়ে গেরো খুলেন ডগলাস কস্তা।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ডি-বক্সে থাকা কস্তাকে পাস বাড়ান। ইরানের ডিফেন্ডার মজিদ হোসেইনি ক্লিয়ার করতে গিয়ে কস্তার পায়েই বল মেরে দেন, দিক বদলে সেটাই ঢুকে যায় জালে। স্বস্তি পায় স্পেন। বিশ্বকাপে এই নিয়ে তৃতীয় গোল করলেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
মিনিট ছয়েক পরেই অবশ্য প্রতি আক্রমণ থেকে বল জালে জড়িয়ে বসে ইরান। জটলার মধ্যে পাওয়া বল দারুণ শটে জালে জড়িয়ে উল্লাস করেছিলেন তেরেমি। রেফারি শুরুতে গোলের বাঁশিও বাজিয়েছিলেন। তবে পরে ভিএআর পরীক্ষার পর অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় তা। এবার ভিএআরের কারণে অনেক পেনাল্টি পাওয়া ঘটনা ঘটলেও গোল বাতিলের ঘটনা এটাই প্রথম।
এরপরের মিনিট ত্রিশেকও আধিপত্য ছিল স্পেনেরই। গোল পেতে পারত একাধিক। পুরো ম্যাচে ৭৮ শতাংশ বল পায়ে ছিল স্পেনের। মাত্র ২২ শতাংশ বল পায়ে রেখেছে ইরান। এক ইনিয়েস্তা যত পাস দিয়েছেন পুরো ইরান দল নিজেদের মধ্যেও এতবার বল আদান প্রদান করতে পারেনি।
গোলের খেলা ফুটবলকে গোল না খাওয়ার খেলা বানিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছে এশিয়ার দেশটি। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
২৫ জুন এই গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচই হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়। স্পেন খেলবে মরক্কোর বিপক্ষে। পর্তুগালকে ঠেকাতে নামবে এই ইরান। ওই দুই ম্যাচেই গ্রুপের সব ফায়সালা হয়ে যাবে।
Comments