ব্রাজিল বনাম কোস্টারিকা : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি ব্রাজিল। শুরুটা ভালো করলেও পরে সে ধারা ধরে রাখতে ব্যর্থ। তবে এক ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের মতো দলকে বিচার করা কঠিন। ঘুরে দাঁড়ানোর সব ক্ষমতাই তাদের আছে। তার উপর প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা। যাদেরকে এর আগে ১০ বারের মোকাবেলায় নয়বারই হারিয়েছে ব্রাজিল। শক্তির দিকেও অনেক পিছিয়ে। তাই পরিষ্কারভাবে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে সেলেকাওরা।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন ?
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা, শুক্রবার, ২২ জুন
কোথায়?
সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম, সেন্ট পিটার্সবার্গ
নজরে থাকবেন যারা
দলের মূল শক্তি নেইমার। গত ম্যাচে হয়তো নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন। তবে সুইসদের আগ্রাসী ফুটবলের শিকার হয়েই ব্যর্থ ছিলেন তিনি। ইনজুরিটাও ভোগাচ্ছে। কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রথম একাদশে নাও থাকতে পারেন। তারপরও সামান্য সময়েই একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের রঙ। আছেন বার্সেলোনা তারকা ফিলিপ কৌতিনহোও। দূরপাল্লার শটে যখন তখন আচমকা গোল দেওয়ায় তার বেশ নাম ডাক। এছাড়া ম্যানসিটি তারকা জেসুসও থাকবেন নজরে।
আগের ম্যাচে সার্বিয়াকে প্রায় রুখে দিয়েছিল কোস্টারিকা। আর তার সব কৃতিত্বই ছিল কেইলর নাভাসের। গোলবারে বিশ্বস্ত প্রহরী। তাকে ফাঁকি দিতে হলে নিখুঁত শটই নিতে হবে প্রতিপক্ষকে। এছাড়াও ব্রায়ান রুইজ ও জোয়েল ক্যাম্পবেলরা নিজেদের মতো খেলতে পারলে ভোগান্তিতে পড়তে পারে ব্রাজিল।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
ব্রাজিল : (৪-৩-৩) এলিসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মিরান্দা, মার্সেলো, কাসেমিরো, পৌলিনহো, কৌতিনহো, উইলিয়ান, জেসুস, নেইমার।
কোস্টারিকা : (৫-৪-১) নাভাস, গামবোয়া, একস্তে, গঞ্জালেজ, দুয়ার্তে, ওভিয়েদো, ভেনেগাস, গুজম্যান, বোরগেজ, ব্রায়ান, উরেনা।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তি এবং রেকর্ড দুই-ই কথা বলে ব্রাজিলের হয়ে। শেষ ম্যাচটি বাদে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ খেলছে ব্রাজিল। দলে এক ঝাঁক তারকা। আর এক নাভাস আর কতটা বাঁচাবেন কোস্টারিকাকে। তাই বড় দুর্ঘটনা না হলে বড় জয়ই প্রাপ্য ব্রাজিলিয়ানদের।
সম্ভাব্য স্কোর : ব্রাজিল ২-০ কোস্টারিকা
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) কোস্টারিকার বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল। যার ৯টিতে জিতেছে সেলেকাওরা। যে একটি ম্যাচে হেরেছে তাও প্রীতি ম্যাচে ১৯৬০ সালে।
২) বিশ্বকাপে এ নিয়ে এ দুই দলের তৃতীয় মোকাবেলা। এর আগে ১৯৯০ সালে ১-০ গোলে এবং ২০০২ সালে ৫-২ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল ব্রাজিল।
৩) ল্যাটিন আমেরিকার দলের বিপক্ষে ১টি ম্যাচই জিততে পেরেছে কোস্টারিকা। গত বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছিল দলটি।
৪) ব্রাজিলের জার্সি গায়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে করা গোলটি ফিলিপ কৌতিনহোর ১১তম, যার পাঁচটিই এসেছে ডি বক্সের বাইরে থেকে।
৫) আগের ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে হারের ফলে বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দৌড় থামে কোস্টারিকার।
৬) বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত টানা তিনটি ম্যাচে জয়হীন রয়েছে ব্রাজিল। এর আগে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচে জয়হীন ছিল দলটি।
৭) চলতি বিশ্বকাপে অন টার্গেটে রাখা প্রথম শট থেকেই গোল পায় ব্রাজিল। শেষ ১৩ শটের ১০টিতেই গোল পেয়েছে তারা।
৮) বিশ্বকাপে শেষ ৩১টি শটের মধ্যে মাত্র ১টি গোল পেয়েছে কোস্টারিকা।
৯) ব্রাজিলের নেইমারকে আগের ম্যাচে মোট ১০ বার ফাউল করেছিল সুইজারল্যান্ড। ১৯৯৮ সালে ইংলিশ স্ট্রাইকার এলান শিয়েরারকে তিউনিসিয়ার করা ১১টি ফাউলের পর এটাই সর্বোচ্চ।
Comments