‘আর্জেন্টিনা এতটাই বাজে খেলেছে যে আমি মেসির জার্সিও চাইনি’

লিওনেল মেসির জার্সি পাওয়া অনেক ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন পূরণের মতো ব্যাপার। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের জার্সি নিজের সংগ্রহে থাকা মানে বিশেষ কিছুই। তবে ক্রোয়েশিয়া উইঙ্গার আন্তে রেবিচ সেই সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাননি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দারুণ ভলিতে প্রথম গোল করা রেবিচ বলেছেন, আর্জেন্টিনা সেদিন এতটাই বাজে খেলেছে, এরপরে আর মেসির সাথে জার্সি বদল করার ইচ্ছা হয়নি তাঁর!

লিওনেল মেসির জার্সি পাওয়া অনেক ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন পূরণের মতো ব্যাপার। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের জার্সি নিজের সংগ্রহে থাকা মানে বিশেষ কিছুই। তবে ক্রোয়েশিয়া উইঙ্গার আন্তে রেবিচ সেই সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাননি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দারুণ ভলিতে প্রথম গোল করা রেবিচ বলেছেন, আর্জেন্টিনা সেদিন এতটাই বাজে খেলেছে, এরপরে আর মেসির সাথে জার্সি বদল করার ইচ্ছা হয়নি তাঁর!

এর আগে আর্জেন্টাইনরা ম্যাচের পর ‘মেয়েদের মতো কান্না’ করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার সিমে ভারসালকো। এবার আর্জেন্টাইনদের খেলায় নিজের হতাশা প্রকাশ করলেন রেবিচও, ‘সত্যি বলতে আমার এক বন্ধুর জন্য আমি লিওর জার্সিটা পেতে চেয়েছিলাম। সে মেসির খুব বড় ভক্ত। কিন্তু সেদিন আর্জেন্টাইনরা আমার মনে এমনই বাজে ছাপ রেখে গেছে, আমার আর মেসির কাছে জার্সি চাওয়ার ইচ্ছা হয়নি।’

এখানেই থেমে থাকেননি রেবিচ, আর্জেন্টাইনদের আরও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি, ‘আমি ওদের থেকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্স আশা করেছিলাম। অন্তত প্রিমিয়ার লীগে খেলে এমন খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। কারণ ওরা এমন পরিস্থিতির সাথে অভ্যস্ত। আপনি নিকোলাস ওটামেন্ডির দিকে তাকান, চতুর্থ মিনিটে মানজুকিচ যখন ওকে পরাস্ত করলো, ওর কাছে সেটার কোন জবাবই ছিল না! আমি ওদের আচরণ ও ফেয়ারপ্লের অভাব দেখে হতাশ। পরাজয়ের সাথে কীভাবে খাপ খাওয়াতে হয়, সেটা একজন অ্যাথলেটের জানা থাকা উচিত।’

শুধু আর্জেন্টিনার নয়, সেদিনের ম্যাচের উজবেক রেফারি রাভশান ইরমাতভেরও সমালোচনা করেছেন ফ্রাঙ্কফুর্টে খেলা রেবিচ। এমন বড় ম্যাচ পরিচালনা করার মতো যথেষ্ট পরিমাণ অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘রেফারি উন্নত মানের ছিলেন না। এমন ঘটনা বিশ্বকাপে প্রথম বার নয়। এর আগেও দেখেছি, অভিজ্ঞতা নেই এমন রেফারিদেরও বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মতো বড় মঞ্চে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের মনে হয়েছে, অনেকগুলো সিদ্ধান্ত আর্জেন্টিনার পক্ষে গেছে। বিশ্বকাপে বিশ্বের সব অঞ্চল থেকেই রেফারিদের সুযোগ দেয়া হয়, এই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই। কিন্তু এমন রেফারিদের দায়িত্ব দেয়া উচিত, যারা ম্যাচের গতি ও গুরুত্ব অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী ম্যাচ পরিচালনা করতে পারেন। এমনকি রেফারির পায়ে ফুটবল বুট পর্যন্ত ছিল না! সাধারণ স্নিকার্স পরে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। আমরা সত্যিই বিস্মিত হয়েছি।’

‘ওটামেন্ডি যখন রাকিটিচকে ইচ্ছাকৃতভাবে লাথি মারলো, ওটা পরিষ্কার লাল কার্ড ছিল। কিন্তু রেফারি কোন প্রতিক্রিয়াই দেখালেন না।’

আর্জেন্টিনাকে হারানো এই ম্যাচকে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ বলছেন রেবিচ, ‘আমি জানি না ম্যাচের পরে কতগুলো শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি আমি! এই কিছুদিন আগেই বায়ার্নের বিপক্ষে জার্মান কাপের ফাইনাল, আর এই ম্যাচ, এই দুটোই আমার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ।’

‘এখনও পর্যন্ত কম করে হলেও একশো বার আমার গোলের ভিডিওটা দেখে ফেলেছি আমি। গোলটা ভালোই হয়েছে, তাই না? আমার মনে হয়েছিল বল মাটিতে নামতে দিলে ততক্ষণে ডিফেন্ডারেরা আমাকে ধরে ফেলবে। সে কারণে খুব বেশি কিছু না ভেবে ওভাবেই শট নিয়েছি আমি।’ 

Comments