মেসিদের সঙ্গে কথা বলতে অনুমতির অপেক্ষায় ম্যারাডোনা

দুই ম্যাচে পয়েন্টের ঝুলিতে সংগ্রহ মাত্র ১। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র, এরপর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হার। আর তাতে দ্বিতীয় রাউন্ডের স্বপ্ন ঝাপসা। এমন নয় যে ধারা বিপরীতে গোল খেয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের পরিষ্কারভাবেই পিছিয়ে ছিল প্রতিপক্ষ থেকে। আলবিসেলেস্তাদের এমন বর্ণহীন পারফর্মে বিরক্ত দিয়াগো ম্যারাডোনা। তাই জাতীয় দলের জার্সির মর্ম বোঝাতে মেসিদের সঙ্গে কথা বলতে চান এ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

দুই ম্যাচে পয়েন্টের ঝুলিতে সংগ্রহ মাত্র ১। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র, এরপর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হার। আর তাতে দ্বিতীয় রাউন্ডের স্বপ্ন ঝাপসা। এমন নয় যে ধারা বিপরীতে গোল খেয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের পরিষ্কারভাবেই পিছিয়ে ছিল প্রতিপক্ষ থেকে। আলবিসেলেস্তাদের এমন বর্ণহীন পারফর্মে বিরক্ত দিয়াগো ম্যারাডোনা। তাই জাতীয় দলের জার্সির মর্ম বোঝাতে মেসিদের সঙ্গে কথা বলতে চান এ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় পরাজয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত আর্জেন্টিনা। আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাই কথা বলতে চান ম্যারাডোনা। বোঝাতে চান জাতীয় দলের জার্সির মূল্য। আর মেসিদের সঙ্গে কথা বলতে প্রয়োজন আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনসহ (এএফএ) কোচ হোর্হে সাম্পাওলির অনুমতি। তার জন্য অপেক্ষা করছেন ম্যারাডোনা।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার আকুতি প্রকাশ করে ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘আমি যখন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দিতাম তখন জীবন দিয়ে খেলতাম। সিমিওনি, রেদোন্দো, রুগেরি, ক্যানিজিয়া, ফিলোল, লুক, গ্যালেজোর মতো কিংবদন্তিরাও একই কাজ করেছে। আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং তাদের বোঝাতে হবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার মহত্ত্বটা কি।’

১৯৮৬ সালে সাদামাটা একটা দল নিয়ে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। মাঠে দুর্দান্ত খেলেছেন তেমনি সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন। কিন্তু ঠিক এ কাজটায় মেসি ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান ম্যারাডোনা। মেসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এটা ভাবার কোন মানে নেই যে তুমি একাই বিশ্বকাপ জিতে ফেলবে। ’

‘লিও (মেসি) তার সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলে কিন্তু সতীর্থদের সমস্যা দূর করা খুব কঠিন ব্যাপার।  আমাকে এটা জানতে হবে। ও এখনও নেতা হয়নি।’ – যোগ করে আরও বলেন ম্যারাডোনা।

যথার্থই বলছেন ম্যারাডোনা। মাঠে প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড় যখন মেসিকে আটকাতে ব্যস্ত হয় তখন সতীর্থরা অনেকেই ফাঁকা জায়গা পান। এতে তাদের ভালো খেলার সম্ভাবনাটা বাড়ে। কিন্তু বাস্তবে সে সুবিধাটা নিতে পারছে না সতীর্থরা। এতে মেসির নেতৃত্ব গুণের অভাব দেখছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

 

Comments