ইংল্যান্ড বনাম পানামা : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
শেষ মুহূর্তের গোলে আগের ম্যাচে তিউনিসিয়াকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছিল তারাই। অপর দিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে পানামা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিশ্চয় ভালো কিছু করতে চাইবে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা দলটি। তবে কাজটা তাদের জন্য বেশ কঠিনই হবে।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন ?
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা, রোববার, ২৪ জুন
কোথায়?
নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়াম, নিজনি নভগোরোদ।
নজরে থাকবেন যারা
হ্যারি কেইন। বড় টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করার দারুণ সুযোগ সামনে। এর মধ্যেই দলকে একটি জয় এনে দিয়েছেন। তার জোড়া গোলেই তিউনিসিয়াকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতেই স্বপ্নের পরিধিটা লম্বা হচ্ছে ইংলিশদের।
হারার আগে হারে না পানামা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যায় বলেই তাদের নাম লড়াকু। তবে আগের ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি দলটি। ডিফেন্ডার রোমান তোরেসই দলের সবচেয়ে বড় তারকা। মজার ব্যাপার ডিফেন্ডার হলেও বাছাই পর্বে তিনিই ছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
ইংল্যান্ড : (৩-৫-২) পিকফোর্ড, ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুইর, ট্রিপিয়ার, হেন্ডারসন, লোফতাফ-চেক, লিংগার্ড, ইয়ং, স্টারলিং ও কেইন।
পানামা : (৪-১-৪-১) পেনেডো, ডেভিস, এসকোবার, তোরেস, মুরিল্লো, গোমেজ, বারকেনাস, গোডি, কুপার, রদ্রিগেজ ও পেরেজ।
ভবিষ্যদ্বাণী : স্পষ্টতই এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে তারা। নিজেদের শেষ ম্যাচের বিচারেও। তবে চলতি আসরে যেভাবে জায়ান্টদের রুখে দিচ্ছে ছোট দলগুলো তাতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেতেই পারে পানামা। বড় কোন অঘটন না ঘটলে বড় জয়ই প্রাপ্য ইংলিশদের।
সম্ভাব্য স্কোর : ইংল্যান্ড ২-০ পানামা
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) এটাই ইংল্যান্ড এবং পানামার মধ্যে প্রথম মোকাবেলা।
২) বিশ্বকাপে কনকাকাফ অঞ্চলের বিপক্ষে শেষ চার ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে ইংল্যান্ড। অবশ্য বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে হেরেছিল দলটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৯৫০ সালে ০-১ গোলে হারে তারা।
৩) বিশ্বকাপে এ নিয়ে ৩৮টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে মোকাবেলা করছে ইংল্যান্ড। এর আগের ৩৭টি দলের বিপক্ষে প্রথম মোকাবেলায় পাঁচটিতে হেরেছে তারা।
৪) চলতি বিশ্বকাপে মেক্সিকো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়েছে। শেষ ১০টি বিশ্বকাপে কনকাকাফ অঞ্চলের কোন দলের বিপক্ষে এটাই কোন ইউরোপিয়ান দলের একমাত্র পরাজয়।
৫) ২০০৬ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত প্রথম ম্যাচে টানা দু'টি জয় পায়নি ইংল্যান্ড।
৬) বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড প্রথম দুই ম্যাচে টানা জেতে পেরেছিল মাত্র দুই আসরে (১৯৮২ ও ২০০৬)।
৭) স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ চারটি ম্যাচেই গোল পেয়েছেন।
Comments