পানামার জালে ইংলিশদের গোল উৎসব
![ইংল্যান্ড বনাম পানামা ইংল্যান্ড বনাম পানামা](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/england.jpg?itok=glz0osG7×tamp=1529906498)
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে গোল দিলেন পানামার ফিলিপ ব্যালয়। উল্লাসে মেতে ওঠে পানামা শিবির। শুধু তাই নয় গ্যালারিতে ভক্ত-সমর্থকদের উল্লাসে মনে হচ্ছিল যেন বিশ্বকাপই জিতে নিয়েছে দলটি। কে বলবে এর আগে ছয়টি গোল খেয়েছে তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেও হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে দলটি।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে পানামা। লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। কিছু গোল করতে পারলেই খুশি। তাও যদি হয় ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে তাহলে উল্লাস করাটা তাদের সাজেই। নেচে গেয়েই মাঠ ছেড়েছেন পানামার সমর্থকরা। আর স্বপ্নের মতো বিদায়টা হচ্ছে ব্যালয়ের। ৩৭ বছর বয়সী এ ডিফেন্ডার যে বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নিবেন। আর দেশের বিশ্বকাপে প্রথম গোলটা এলো যে তার পা থেকেই।
নিজনি নভগোরোদে রোববার হ্যাটট্রিক করেছেন হ্যালি কেন। জোড়া গোল করেছেন ডিফেন্ডার জন স্টোন। সব মিলিয়ে পানামার জালে ছয়বার বল জালে জড়ায় ইংলিশরা। আর এমন দুর্দান্ত জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে দলটির। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে নবাগত পানামা। আর একই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হলও বেলজিয়ামেরও।
গোল করার মতো সুযোগ প্রথম পেয়েছিল পানামাই। ম্যাচের ৪ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন এডগার বারকেনাস। পর্যাপ্ত সময়ে পেয়েও লক্ষ্যে শট রাখতে পারেননি তিনি। ৪ মিনিট পর এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। কিয়েরান ট্রাইপারের নেওয়া কর্নার থেকে ফাঁকায় হেড দিয়ে বল জালে জরান ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে এটাই তার প্রথম গোল।
১৬ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল পানামা। বারে দারুণ শট নিয়েছিলেন বারকেনাস। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। উল্টো ছয় মিনিট পর আবারো গোল খায় তারা। ডি বক্সের মধ্যে জেসে লিনগার্ডকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। আর তা থেকে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান ইংল্যান্ডের সেরা তারকা হ্যারি কেইন।
২৮ মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারত পানামা। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন হোসে লুইস রদ্রিগেজ। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণ করতে দেরি করে ফেললে দুরূহ কোনে বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। ৩৬ মিনিটে স্টারলিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট লক্ষ্যভেদ করেন লিনগার্ড।
৪ মিনিট পর আবার গোল দেয় ইংল্যান্ড। ফ্রি-কিক থেকে হ্যারি কেইনের হেড থেকে বল পেয়ে দারুণ হেড নিয়েছিলেন রহিম স্টারলিং। ঝাঁপিয়ে পরে সে বল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পানামা গোলরক্ষক জেমি পেনেডো। ফিরতি বল আলতো হেডে বল জালে জড়ান স্টোনস। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আবার পেনাল্টি পায় ইংলিশরা। এবার হ্যারি কেইনকে ডি বক্সে ফেলে দেন মাইকেল মুরিলো। আরও একটি দারুণ শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কেইন।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ৬২ মিনিটেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কেইন। তবে নিজেও জানতেন না তিনি গোল করেছেন। রুবেন লোফতাস-চেকের শট কেইনের পায়ে লেগে দিক বদলে বল জালে জড়ায়।
৬৫ মিনিটে দিনের দারুণ সুযোগ পায় পানামা। কিন্তু মুরিলোর শট ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। তবে ৭৮ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলটি করতে পারে পানামা। রিকার্ডো আভিলার নেওয়া ফ্রি কিক থেকে ঝাঁপিয়ে পরে দিক বদলে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্যালয়। আর এই এক গোলেই যেন জয় পেয়ে যায় পানামা।
এরপর গোলের বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল ইংল্যান্ড। তবে গোল করতে পারেনি। ফলে ৬-১ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি। ২৮ জুন নিজেদের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
Comments