তুরস্কে নির্বাচনে এরদোয়ানের নিরঙ্কুশ বিজয়

তুরস্কের নির্বাচনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
নির্বাচনে বিজয়ের ফলাফল আসার পর আঙ্কারায় একে পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও তার স্ত্রী এমিন এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের নির্বাচনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

প্রথম দফা ভোটের ফল ঘোষণা করতে গিয়ে দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ প্রধান সাদি গুভান বলেন, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন এরদোয়ান। এর ফলে দ্বিতীয় দফায় আর ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গণনা করা ৯৯ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ভোটার এরদোয়ানের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররেম ইনসে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট। আগামী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় মেনে না নিলেও বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফলাফল যাই আসুক না কেন তারা তাদের গণতান্ত্রিক লড়াই জারি রাখবেন।

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই তুরস্কের নির্বাচন নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হলো ক্ষমতাসীন একে পার্টিকে। তবে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নির্বাহী ক্ষমতা আরও সুসংহত হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনে বিজয়ের খবর আসতেই রাজধানী আঙ্কারায় ৬৪ বছর বয়সী এরদোয়ান দলের সদর দপ্তরের ব্যালকনি থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণে বলেন, ‘আমার দেশের আট কোটি ১০ লাখ মানুষের সকলের বিজয় হয়েছে।’

২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ১১ বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন এরদোয়ান।

নির্বাচনের পরে তুরস্কে যে নতুন সংবিধান বলবত হতে যাচ্ছে সেখানে প্রেসিডেন্টের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নতুন সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল করা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবেন।

এছাড়াও নতুন সংবিধান কার্যকর হলে মন্ত্রীসভার সদস্য, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সরকারি কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন প্রেসিডেন্ট। দেশটির বিচার ব্যবস্থাতেও হস্তক্ষেপ ও জরুরি অবস্থা জারি করার ক্ষমতা থাকবে প্রেসিডেন্টের হাতে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago