‘রোনালদো বনাম ইরান নয়, ম্যাচটা পর্তুগাল বনাম ইরান’
এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চার গোল করেছে পর্তুগাল, চারটিরই গোলদাতা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। মজা করে হলেও অনেকে তাই বলছেন, প্রতিপক্ষরা পর্তুগালের বিপক্ষে নয়, বরং রোনালদোর বিপক্ষেই খেলছে। তবে পর্তুগীজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রোনালদো নয়, ইরানকে লড়তে হবে পর্তুগালের বিপক্ষেই।
রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার নিজে বিধ্বংসী ফর্মে থাকলেও সান্তোস সবটা চাপ রোনালদোর উপর দিতে নারাজ। রোনালদোকে ম্যাচের ফল নির্ধারক হতে হবে, এমনটাও মানছেন না তিনি। তাঁর দলের বাকিদেরও ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা আছে, এমনটাই দাবি করছেন সান্তোস।
‘অবশ্যই সে (রোনালদো) পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, স্পোর্টিংয়ে অসংখ্যবার সে এই কাজ করেছে। তবে এই ম্যাচটা পর্তুগালের কোচ বনাম ইরানের কোচ নয়, রোনালদো বনাম ইরানও নয়। ম্যাচটা পর্তুগাল বনাম ইরান।’
পর্তুগালের পাশাপাশি শেষ ষোলোতে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে ইরানেরও। ইরানের পর্তুগীজ কোচ কার্লোস কুইরোজ আবার সান্তোসের ভালো বন্ধুও। ম্যাচের আগে তাই বন্ধুর প্রশংসাই ঝরে পড়লো সান্তোসের কণ্ঠে, ’৩৫ বছর ধরে আমরা দুজনে সহকর্মী ও ভালো বন্ধু। একসাথে কতবার ট্রেনে ভ্রমণ করেছি আমরা, ফুটবল নিয়ে কতো আলাপ করেছি। আমি যখন ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম, সে তখন আমাকে ফুটবল সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ইরানকে জেতানোর জন্য যা যা করা দরকার, সবকিছুই করবে সে।’
ইরান যে এক চুলও ছেড়ে কথা বলবে না, সেটিও ভালোই জানেন ৬৩ বছর বয়সী সান্তোস, ‘গ্রুপ পর্বে তাদের দুই ম্যাচ ও বাছাইপর্বে দশটি ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। দেখে আমার মনে হয়েছে, তারা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। বাছাইপর্বে দশটি ম্যাচের নয়টিতেই জিতে এসেছে তারা, বাকিটি ড্র করেছে। পুরো বাছাইপর্বে গোল খেয়েছে মাত্র দুইটি, সেটিও বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে।’
‘ওদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, কৌশলও বেশ শক্তিশালী। এই টুর্নামেন্টেও ইরানের রক্ষণের জমাট ভাব দেখেছি আমরা। তারা জানে কীভাবে বল পায়ে ধরে রাখতে হয়। দুই দলই নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে চাইবে। আমি জিততে চাই, আমার সহকর্মীও জিততে চায়। দারুণ এক লড়াই হতে চলেছে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আজ রাত বারোটায় মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল ও ইরান।
Comments