গাজীপুরে রেকর্ড কার পক্ষে?

জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি থাকতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের জন্যই সম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের জন্যও এটি একটি পরীক্ষা।
হাসান উদ্দিন সরকার ও জাহাঙ্গীর আলম

জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি থাকতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের জন্যই সম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের জন্যও এটি একটি পরীক্ষা।

গাজীপুরের ১,২ ও ৫ নম্বর সংসদীয় আসনের অংশ নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। ইতিহাস বলছে এই আসনগুলোতে প্রায় সব সময়ই শক্ত অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে গাজীপুর-১ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়েছিল। এছাড়া আর কখনওই এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাত থেকে যায়নি। অন্যদিকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রার পর থেকে গাজীপুর-২ ও ৫ নম্বর আসনে পরাজয় দেখেনি আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচনের এই ইতিহাস দেখলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকাকে আওয়ামী লীগের 'ঘাঁটি' হিসেবেই মানতে হবে।

তবে গাজীপুরে বিএনপির দুর্বল রেকর্ডের পেছনে দলের জনপ্রিয়তার ঘাটতির কথা মানতে নারাজ দলটির নেতার। তারা বলছেন, ১৯৯১ সালের পর গাজীপুরে জিততে না পারার কারণ নির্বাচনের আগ দিয়ে দলীয় কোন্দল। কিন্তু নির্বাচন শেষে বিভেদ ভুলে ফের ঐক্যবদ্ধ হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত ২০১৩ সালের মেয়র নির্বাচনে এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও রয়েছে তাদের মেয়র প্রার্থীর।

গাজীপুরের ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে গাজীপুর ১ আসন থেকে ১৮টি, গাজীপুর-২ থেকে ৩৫টি ও গাজীপুর-৫ থেকে চারটি ওয়ার্ড। এই তিনটি আসনেই অতীতের জাতীয় নির্বাচনে ভালো ফল করেছে আওয়ামী লীগ।

২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে সবগুলোতেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে যখন গাজীপুরে চারটি আসন ছিল সেবারও সবগুলো আসনে জয় পেয়েছিল তারা। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় স্বাভাবিকভাবেই পাঁচ আসনের সবগুলোই যায় আওয়ামী লীগের ঘরে।

গাজীপুরে মেয়র পদের জন্য মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছেন। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের দিক থেকে বিএনপির প্রার্থী হাসান বেশ অভিজ্ঞ। দুই বারের সাংসদ হাসান টঙ্গী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর অপেক্ষাকৃত নবীন। গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

তবে ইতিহাস যার পক্ষেই থাকুক না কেন গাজীপুরের ভোটাররা আজ শেষ পর্যন্ত পর্যন্ত কার মুখে হাসি ফোটান সেটি জানার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

Comments

The Daily Star  | English

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

59m ago