গ্যালারিতে থাকতে চিকিৎসকের বারণও মানেননি ম্যারাডোনা
রোমাঞ্চকর এক জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লিখিয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর সে ম্যাচটি মাঠে বসেই উপভোগ করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। তবে এ ম্যাচের মধ্য বিরতিতে তাকে আর খেলা দেখতে নিষেধ করেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই দেখেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের মূলনায়ক।
মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটেই অধিনায়ক লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তখনই বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ম্যারাডোনাকে। এমনকি সামনে থাকা টেবিলেও উঠে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এক পর্যায়ে মাঠেই ঘুমিয়ে পড়েন।
আর তখনই ফিফার নিজস্ব চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য যাচাই করেন। অবস্থা খুব একটা ভালো না দেখায় ম্যারাডোনাকে মাঠ ছাড়তেও বলেন তারা। কিন্তু এ কথায় যেন আকাশ থেকে পড়েন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘আমি কি করে মাঠ ছাড়ব? আমি থাকতে চাই কারণ এর জন্য আমরা সব ঝুঁকি নিতে পাড়ি।’
মাঠ ছাড়েননি ম্যারাডোনা। যদিও শারীরিক ক্লান্তির কাছে হেরে পুরো ম্যাচ উপভোগ করতে পারেননি। কিন্তু তাতে কি। শেষ পর্যন্ত তার বিশ্বাসের জয় হয়েছে। ডিফেন্ডার মার্কোস রোহোর গোলে নাটকীয় জয় পায় তারা। আর রোহোর গোলের পর আরেক দফা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ম্যারাডোনা।
নিজেকে যেন তখন নিয়ন্ত্রণই করতে পারছিলেন না ম্যারাডোনা। এক পর্যায়ে নিন্দুকদের উদ্দেশ্য করে মধ্যমা দেখা তিনি। তাতে সমালোচনায় পড়েছেন তিনি। বিশেষকরে ইংলিশ মিডিয়া তার পেছনে লেগেছে। রাশিয়ায় ম্যারাডোনার পেছনে দিন প্রতি ১০ হাজার ইউরো খরচের কারণ জানতে চায় দেশটির গণমাধ্যম।
তবে অতিরিক্ত উত্তেজনায় শেষ পর্যন্ত নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ম্যারাডোনা। ম্যাচের শেষে অসুস্থতা বেড়ে যায়। তখন তাকে ধরাধরি করেই ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সে ভিডিও কেউ একজন সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল।
Comments